কয়েক বছর ধরে সমালোচনা-ভর্ৎসনা চলছিল সমানে। জাতীয় পরিবেশ আদালত এ বার সরাসরি জানিয়ে দিল, আর্সেনিক মোকাবিলায় গাফিলতির জন্য রাজ্য সরকারের চরম শাস্তি হওয়া উচিত।
একই দোষে দুষ্ট কেন্দ্রকেও বৃহস্পতিবার ভর্ৎসনা করেছে বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। আর্সেনিক-দূষণ নিয়ে কলকাতায় জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যে আর্সেনিকের দূষণ বেড়ে চলা সত্ত্বেও প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ করছে না। আদালতের নির্দেশ ছিল, আর্সেনিক-পীড়িত এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জল দিতে হবে। এ দিন সরকার পক্ষ জানায়, পরিস্রুত জল সরবরাহের চেষ্টা চলছে। তা শুনেই ক্ষিপ্ত বিচারপতি মন্তব্য করেন, রাজ্যের অনেক জায়গাতেই আর্সেনিকের বিপদ আছে। আদালত একটি এলাকা নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। সেখানেও সমস্যার সুরাহা করতে পারছে না প্রশাসন। ২০১৫ সালে রাজ্যের দু’টি আর্সেনিক-উপদ্রুত এলাকায় নলকূপের জল পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। ২০১৬ সালে সেই এলাকায় আর্সেনিকের মাত্রা অনেক বেড়েছে।
আর্সেনিক-দূষণ নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তারা একমত নন। এক কর্তা জানান, বনগাঁ-বসিরহাটের আর্সেনিক-পীড়িত এলাকার জন্য ইছামতীর তীরে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্প গড়তে কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে রাজ্য। জনস্বাস্থ্য দফতরের খবর, ইছামতী থেকে পানীয় জল তৈরিতে প্রযুক্তি-সহায়তা দিতে রাজি ইজরায়েল। কিন্তু টাকার অভাবে সেই প্রকল্প গড়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় পানীয় জল এবং স্বচ্ছতা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রমেশ চান্দাপ্পা জিগাজিনাগির কাছে ওই প্রকল্পের জন্য টাকা চেয়েছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy