Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

১০ দিনে বদলাল রং, মিরিকে শপথে নীল-সাদায়

প্রশাসনিক ভবনের রং বদলে নীল-সাদা করার ঘটনা অবশ্য এই নতুন নয়। কলকাতায় তো পুর এলাকায় কেউ নিজের বাড়ি নীল-সাদা রং করলে তাকে কর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

পরিবর্তন: মিরিকের পুরভবন। আজ এখানেই শপথ। নিজস্ব চিত্র

পরিবর্তন: মিরিকের পুরভবন। আজ এখানেই শপথ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০২:৫৩
Share: Save:

সতেরোই মে সাতসকালেই জানা হয়ে গিয়েছিল, মিরিক পুরসভা দখল করেছে তৃণমূল। তার পরের দশ দিনে সেই পুরভবনের ভোল বদলে গেল দ্রুত গতিতে। আজ, সোমবার শপথ গ্রহণের জন্য যে ভবনে ঢুকবেন তৃণমূল কাউন্সিলররা, তার রং এখন নীল-সাদা।

পাহাড়ের মানুষ বলছেন, তৃণমূল যে প্রথম এখানে পা রাখল, রং বদলে তারই বার্তা রয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, নতুন বোর্ড গঠনের আগে অনেক পুরভবনেই ঝাড়পোঁচ হয়। রং করাও হয়। এখানেও তেমনই হাল্কা হলুদ ও খয়েরি দোতলা বাড়ির রং বদল হয়েছে। টাঙানো হয়েছে নতুন সাইনবোর্ড।

প্রশাসনিক ভবনের রং বদলে নীল-সাদা করার ঘটনা অবশ্য এই নতুন নয়। কলকাতায় তো পুর এলাকায় কেউ নিজের বাড়ি নীল-সাদা রং করলে তাকে কর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তবে পাহাড়ে বোর্ড দখল করার পরে এই বদল বেশ চমকপ্রদ, মনে করছেন মিরিকের অনেকেই।

সোমবারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য গরুমারা জঙ্গল লাগোয়া ‘গোপন ডেরা’ থেকে বেরিয়ে শিলিগুড়ি আসেন তৃণমূলের ছয় কাউন্সিলর। শিলিগুড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘মিরিককে সুন্দর করে গোড়া তোলাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরো পাহাড়কে নিয়েই উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন। তিনিও কিছু দিনের মধ্যেই পাহাড়ে আসবেন।’’

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি যুবককে জিপে বাঁধা ভুল হয়নি: সেনাপ্রধান

১৯৮৪ সালে গঠিত হয় মিরিক পুরসভা। তার পরে এই প্রথম রাজ্যের মূলস্রোতের কোনও রাজনৈতিক দল ভোটে জিতে বোর্ডে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেল। তৃণমূল সূত্রের খবর, নয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে লালবাহাদুর রাই। এক সময়ের জিএনএলএফের দাপুটে নেতা এলবি (এই নামেই তিনি পাহাড়ে পরিচিত) পরপর তিনটি বোর্ডে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন। সেই প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারে তৃণমূলও।

প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরভবনের হল-এই বোর্ড গঠনের অনুষ্ঠান হবে। এ দিন বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী ছয় কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে গরুমারা থেকে রওনা দেন। এ দিন অবশ্য তাঁরা শিলিগুড়িতে রয়েছেন। সোমবার সকালে মন্দিরে পুজো দিয়ে সকলে মিরিকে পৌঁছবেন। সৌরভের কথায়, ‘‘কাউন্সিলরদের অপহরণের চক্রান্ত করছিল মোর্চা। সব চক্রান্ত ভেস্তে দিয়ে সোমবার নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে মিরিকের।’’

সব কিছু ঠিক থাকলে আজ, বোর্ড গঠনের দিনই পরিকাঠামো উন্নয়নের কয়েকটি প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে তৃণমূলের মিরিক পুরবোর্ড।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE