নোট-আকালের বাজারে ফি বাবদ জমা পড়া ২০০০, ১০০ এবং ১০ টাকার নোটের বান্ডিল চুরি গেল বর্ধমানের রানিগঞ্জের একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে। কর্তৃপক্ষের দাবি, লুঠের অঙ্ক প্রায় দু’লক্ষ। রবিবার রাতের ঘটনা।
সোমবার কলেজে এসে কর্তৃপক্ষের চোখ ছানাবড়া। তাঁরা দেখেন, অফিস লাগোয়া একটি ঘরের জানলার রড ভাঙা। কলেজ ভবনের নীচের তলায় অফিসঘরের দরজা খোলা। ভিতরে থাকা কম্পিউটার, দামি জিনিসপত্র ঠিক রয়েছে। কিন্তু আলমারির তালা ভাঙা। লকার ভাঙা। কলেজর কো-অর্ডিনেটর ঋত্বিক হোমরায়ের দাবি, লকারে ২,০০০ টাকার ৫৬টি, সাড়ে আটশোর মতো ১০০ টাকার নোট এবং ১০ টাকার নোটের তিনটি বান্ডিল ছিল। সে সবই উধাও।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, ওই টাকার মধ্যে বিবিএ-বিসিএ’র সেমিস্টারের পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে জমা নেওয়া টাকাই ছিল প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি। বাকিটা তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একটি প্রজেক্টের খরচ এবং কলেজের দৈনন্দিন কাজ চালানোর টাকা। ফি জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৫ নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৮ নভেম্বর ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট টাকা বাতিলের ঘোষণার পরে পড়ুয়াদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে ফি জমা দেওয়ার দিন বাড়িয়ে ২৮ নভেম্বর করা হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ঝুমুর বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্ষেপ, ‘‘এই ঘটনার পরে কলেজের প্রতি দিনের কাজ চালানো সমস্যা হয়ে পড়ল!’’
রানিগঞ্জ থানার পুলিশ অবশ্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। গোটা কলেজে রাতে মাত্র এক জন নিরাপত্তা রক্ষী থাকেন। কলেজে সিসিটিভি (ক্লোজড-সার্কিট) নেই বলেও জানা গিয়েছে। কী ভাবে দুষ্কৃতীদের কাছে কলেজে রাখা ফি-র খবর গেল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ-কর্তা।
সব দেখেশুনে সোমবার কলেজে পরীক্ষার ফি জমা দিতে আসা একাধিক পড়ুয়ার মন্তব্য, ‘‘চোরের দলও বোধ হয়, নোট-বদলের ভোগান্তি, আঙুলে কালি লাগানোর ঝক্কি থেকে বাঁচতে চাইছে!’’