হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ায় চার্চের বাইরে ভিড় স্থানীয়দের।
রানাঘাট কাণ্ডের জের মিটতে না মিটতেই দুষ্কৃতীরা ফের গির্জায় ঢুকে তাণ্ডব চালাল। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তাহেরপুরের সেন্ট টমাস ক্যাথলিক চার্চে। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা গির্জার ভিতরে ঢুকে বেশ কিছু জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে। কিছু জিনিস গির্জার বাইরে নিয়ে এসেও ভেঙে ফেলে। ভাঙচুর ছাড়া দুষ্কৃতীরা গির্জা থেকে কিছু নিয়ে যায়নি বলেই পুলিশ জানিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনা বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা কেউ বাইরের নয়। তবে কী কারণে এমনটা ঘটেছে সেটা আমাদের কাছেও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
গত ১৩ মার্চ রাতে রানাঘাটের একটি কনভেন্টে ঢুকে শুধু লুঠতরাজই নয়, স্কুলের সত্তরোর্ধ্ব ‘মাদার সুপিরিয়র’কে ধর্ষণও করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার চার মাস পরেই ফের এমন ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রানাঘাটের ওই ঘটনার পর থেকে তাহেরপুরের এই চার্চ এলাকায় রাতে পুলিশ টহল দিত। তবে গত দু’দিন থেকে রাতে ওই এলাকায় পুলিশ দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
রাস্তায় পড়ে রয়েছে ভাঙচুর চালানো জিনিসের অংশ।
তাহেরপুরের ওই গির্জার পাশের আবাসনে ছিলেন চিকিৎসক ও নার্সরা। তবে ফাদাররা কেউ ছিলেন না। তাঁরা বিশেষ কাজে বাইরে ছিলেন। দুষ্কৃতীরা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই গির্জায় ঢুকেছিল বলে পুলিশের অনুমান। ওই গির্জার ফাদার রেভারেন্ড সতীশ বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। রানাঘাটের ঘটনার পরে এখানেও এমনটা ঘটল! বারবার দুষ্কৃতীরা কেন গির্জাগুলিকেই বেছে নিচ্ছে বুঝতে পারছি না।’’
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy