Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Mithun Chakraborty

‘এত টাকা আমি কখনও দেখিনি, কামাতেও পারলাম না’, পার্থ-কাণ্ডে তৃণমূলকে খোঁচা দিলেন মহাগুরু

তাঁর প্রাক্তন দল তৃণমূলের নেতাদের ঠিকানা থেকে সম্প্রতি হিসাব-বহির্ভূত টাকা উদ্ধারের ঘটনা সম্পর্কে মিঠুন বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি দেখে আমার হতাশ (ফ্রাস্ট্রেটেড) লাগছে।’’

সাংবাদিক বৈঠকে মিঠুন চক্রবর্তী।

সাংবাদিক বৈঠকে মিঠুন চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৫৭
Share: Save:

দুর্গাপুজোর আগে কলকাতায় এসে ‘ঠিক সময় পাঞ্চ’ মারার বার্তা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। গত বছর নীলবাড়ির লড়াই-পর্বে বিজেপির তারকা প্রচারক শনিবার হেস্টিংসে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আমি এমন এক জন ফাইটার, যাকে ন’বার বক্সিং রিংয়ের নক-আউট করে দেওয়া হয়েছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পলিটিক্স ন’বার ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু দশ গোনার আগে উঠে পড়ি। তার পর যে লাস্ট পাঞ্চটা মেরেছি আর ওঠেনি।’’

কিন্তু সেই পাঞ্চটা তিনি কবে মারবেন? প্রশ্নকর্তাকে মহাগুরুর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আপনি কি রাজনীতির কথা বলছেন?’’ ইতিবাচক জবাব শুনে মহাগুরুর জবাব, ‘‘আমি তো বিজেপির মুখপাত্র নই।’’ তবে মিঠুন জানিয়েছেন, ফাইটার হতে গেলে প্রস্তুত থাকতে হবে। আঘাত খাবেন, আঘাত দেবেন। যার শারীরিক এবং মানসিক শক্তি, শেষ পর্যন্ত তিনিই জিতবেন।’’

তাঁর প্রাক্তন দল তৃণমূলের নেতাদের ঠিকানা থেকে সম্প্রতি হিসাব-বহির্ভূত টাকা উদ্ধারের ঘটনা সম্পর্কে মিঠুন বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি দেখে আমার হতাশ (ফ্রাস্ট্রেটেড) লাগছে।’’ রুপোলি পর্দায় ৪৩ বছর টিকে থাকার লড়াই (স্ট্রাগল) চালিয়েও তিনি কখনও এত টাকা দেখেননি বলে দাবি করেন মিঠুন। তাঁর ‘আক্ষেপ’— ‘‘আমি এত টাকা কামাতে পারলাম না।’’ তবে সেই সঙ্গেই মিঠুন বলেন, ‘‘আমি কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করি না। কার নীচে, কত টাকা পাওয়া গেল, যাঁর টাকা তিনি বলতে পারবেন।’’

দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাটে স্থানীয় সাংসদ সুকান্তের একটি পুজোর উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা মিঠুনের। বিজেপির অভিযোগ, জেলা সার্কিট হাউসে মিঠুনকে থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। যদিও এ প্রসঙ্গে সরাসরি কোনও জবাব দেননি মিঠুন। মাইক্রোফোন এগিয়ে দেন পাশে বসা সুকান্তের দিকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে বলেন, ‘‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি।’’ তবে তিনি না যাওয়ায় বালুরঘাটের পুজোর আয়োজকেরা বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন বলে জানান মিঠুন।

তবে তাঁর তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ হওয়ার নেপথ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অনুরোধ’ ছিল বলেও দাবি করেন মহাগুরু। বলেন, ‘‘প্রথমে ‘না’ বলেছিলাম (মমতাকে)। দ্বিতীয় বার ‘না’ বললে তাঁকে অসম্মান করা হত।’’

দেবীপক্ষের (মহালয়া) আগে রাজ্যে একাধিক পুজো উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে মিঠুনের মন্তব্য, ‘‘এটা ব্যতিক্রম। কে, কোন সময় পুজো করবেন, না করবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। আমি মনে করি, ‘এটা শুভ সময়’। আমার মনে হতে পারে। আপনার না মনে হতে পারে।’’

এর আগে জুলাই মাসে কলকাতায় এসে মিঠুন তৃণমূল পরিষদীয় দলে ভাঙনেই ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ‘’৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। তার মধ্যে আমার সঙ্গে ডিরেক্টলি (সরাসরি) ২১ জন।’’ তাঁর সেই মন্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হলে তাঁর মন্তব্য— ‘‘আবার বলছি, আবার বলছি, আবার বলছি, ব্যাক সাপোর্ট না থাকলে আমি কোনও কথা বলি না।’’ তিনি তাঁর দাবি বক্তব্য থেকে সরছেন না বলেও জানান মিঠুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE