Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
BJP

TMC: তৃণমূলে এখন ডাকাতও কর্মী, চোরও কর্মী, জোরগলায় বললেন তৃণমূলেরই বিধায়ক

কেন আচমকা এমন কথা বললেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত? এর পিছনে রয়েছে স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে সাম্প্রতিক গোষ্ঠী সঙ্ঘাতের ঘটনা।

চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।

চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫৫
Share: Save:

তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে যখন বিদ্ধ করছে বিরোধীরা তখন শাসক শিবিরের বিধায়কই নতুন অস্ত্র তুলে দিলেন। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার সংবাদমাধ্যমের সামনেই বলে ফেললেন, ‘‘তৃণমূলে তো এখন ডাকাতও কর্মী, চোরও কর্মী। তাই বলে কি আমি ডাকাতকে ছেড়ে দেব? চোরকে ছেড়ে দেব?’’ যা শুনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘উনি তো তবে চোর, ডাকাতের সর্দার।’’

কেন আচমকা এমন কথা বললেন অসিত? এর পিছনে রয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যের গোষ্ঠী সঙ্ঘাত। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডে সেই গোলমাল সামলাতে পুলিশকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে তার আগেই হাতাহাতি হয় দুই পক্ষের মধ্যে। তাতে আহত হন চুঁচুড়ায় অসিতের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত প্রেমজিৎ সাহা। তিনি আবার চুঁচুড়া শহর যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। প্রেমজিতের সঙ্গে মূল বিবাদ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ঝন্টু বিশ্বাসের। প্রেমজিতের অভিযোগ, বিধবা ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নামে ঝন্টুর অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। অন্য দিকে, প্রেমজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি দলীয় দফতরের সামনে বলেন ‘‘দাদাই সব, দিদি কেউ নন।’’ স্থানীয়দের দাবি, দাদা বলতে তিনি অসিতকেই বুঝিয়েছিলেন।

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই লড়াই প্রসঙ্গেই অসিত বলেন, ‘‘তৃণমূলে তো এখন ডাকাতও কর্মী, চোরও কর্মী। তাই বলে কি আমি ডাকাতকে ছেড়ে দেব? চোরকে ছেড়ে দেব?’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘প্রেমজিৎ সাহাকে মারধর করে কিছু দুর্বৃত্ত। সে এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমি রবীন্দ্রনগর, ব্যান্ডেলের মতো জায়গাকে শান্ত করে দিয়েছি আর বালির মোড়ের মতো জায়গায় উচ্ছৃঙ্খলতা চলবে, মারধর করা হবে এটা হতে পারে না।’’ তিনি যাঁদের সম্পর্কে অভিযোগ করছেন তাঁরাও যে তৃণমূল কর্মী সেই প্রশ্ন উঠতেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন অসিত।

বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ায় বিজেপির একটি মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই মিছিল চলার সময়েই সংবাদামাধ্যমকে সুকান্ত বলেন, ‘‘এই চোর, ডাকাতদের দিয়েই তৃণমূল ভোট করায়। বিজেপি কর্মীদের উপরে অত্যাচার করায়। খুন, ধর্ষণ করায়। বিজেপি কর্মীদের ঘর পোড়ায়। এই সব কথা বলে বাজার গরম করা ছাড়া কিছু হয় না। চোর, ডাকাতরা কেউ ধরা পড়বে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE