নেতা: মালদহে বৈঠক শেষে বেরোলেন মুকুল। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোটের বেশি বাকি নেই। এখন একজোট হয়ে লড়াই করে মালদহ জেলা পরিষদ দখলের ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায়।
নবগঠিত জেলা কমিটিকে নিয়ে সোমবার দুপুরে পুরাতন মালদহের মহানন্দা ভবনে বৈঠক করেন তিনি। বামনগোলা ব্লকের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে দলেরই এক ব্লক নেতা অনাস্থা আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুকুলবাবু। দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে দ্রুত দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে অনাস্থা রোখার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেও কেউ অনাস্থা আনলে দলগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
মালদহে ৩৫ জন নেতা-নেত্রীকে নিয়ে তৃণমূলের জেলা কমিটি ছিল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কমিটি ভেঙে ছোট করে দেন। মাত্র ১৫ জনকে নিয়ে গঠন করা হয় জেলা কমিটি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য জেলা নেতাদের কড়া বার্তাও দিয়েছিলেন নেত্রী। এ দিন দুপুরে নবগঠিত জেলা কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করেন মুকুল রায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে।
সূত্রের খবর, মুকুলবাবু জেলার নেতা নেত্রীদের সাফ জানিয়েছেন নেত্রী মালদহ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তাই জেলাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনও মতে বরদাস্ত করা হবে না। সকলকে জোটবদ্ধ ভাবে লড়াই করে একক ভাবে মালদহ জেলা পরিষদ দখল করতে হবে। সে জন্য এখন থেকেই নেতৃত্বকে পঞ্চায়েত স্তরে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি বামনগোলা ব্লকের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্মৃতি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন দলেরই সদস্য ফায়েজউদ্দিন সরকার। বিষয়টি মুকুলবাবুর কানে যেতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কেন দলের সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুকুলবাবু। তিনি বলেন, ‘‘জেলা পরিষদ দখলই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তা নিয়ে এ দিন আলোচনা করা হয়েছে। বামনগোলা ব্লকে যে সমস্যা হয়েছে তা জেলা সভাপতি দেখছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy