Advertisement
E-Paper

‘বিশ্ববাংলা’ সামাল দিতে আসরে অত্রিও

তৃণমূলের ‘তোষণ নীতি’র প্রতিবাদে শুক্রবার ধর্মতলায় বিজেপি-র সমাবেশে মুকুল বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ ফুটবল স্পনসর করেছিল বিশ্ববাংলা। এই বিশ্ববাংলা কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, এটা একটা কোম্পানি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৭
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘বিশ্ববাংলা’ এখন তাঁর সরকারের সব চেয়ে পরিচিত ব্র্যান্ড। এ বার সেই ‘বিশ্ববাংলা’র দিকেই আঙুল তুললেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। প্রকাশ্যেই তাঁর অভিযোগ, ‘বিশ্ববাংলা’ আদতে একটি বেসরকারি সংস্থা। যার মালিক যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের ‘তোষণ নীতি’র প্রতিবাদে শুক্রবার ধর্মতলায় বিজেপি-র সমাবেশে মুকুল বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ ফুটবল স্পনসর করেছিল বিশ্ববাংলা। এই বিশ্ববাংলা কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, এটা একটা কোম্পানি। যার মালিকের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিকানা, ৩০বি, হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিট।’’ যা কি না মুখ্যমন্ত্রীরই বাড়ির ঠিকানা।

মুকুল এই অভিযোগ তোলার পরেই দ্রুত এর জবাব দিতে আসরে নামে সরকার এবং শাসক দল। রাজনৈতিক সভার কোনও বক্তব্যের জবাবে স্বরাষ্ট্রসচিব মুখ খুলছেন, এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না। যা ঘটেছে এ দিন। আর স্বয়ং অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু বলেছেন, ‘‘প্রকাশ্য সভায় মুকুল রায় যা বলেছেন, তার সঙ্গে সত্যের কোনও সম্পর্ক নেই! আমরা দ্রুত ওঁর বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনি পদক্ষেপ করব।’’

নবান্নে স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘একটি জনসভায় মুকুল রায় বলেছেন বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এটা একেবারেই ভুল এবং ভিত্তিহীন! বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ড এবং লোগোটি পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি। উনি স্বেচ্ছায় ওই ব্র্যান্ড এবং লোগোটি রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন।’’ এই ব্র্যান্ড ও লোগো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নামেই নথিভুক্ত হয়েছে বলেও অত্রিবাবু জানান। ‘বিশ্ববাংলা’র যাবতীয় অধিকার রাজ্য সরকারের বলেই বারবার বোঝাতে চান তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই লোগোটি সরকারের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এটা কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। এমনকী, কোনও ব্যক্তির অধিকারও নেই।’’

সরকারি ব্র্যান্ড কোনও ভাবে কোনও ব্যক্তি ব্যবহার করলে সরকার যে তা রেয়াত করবে না, তা বোঝাতে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘‘সম্প্রতি বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ড এবং লোগো অন্যায় ভাবে ব্যবহার করার জন্য রাজ্য সরকার নিজে থেকেই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে।’’ মুকুলের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা সরকার নেবে কি না, তার স্পষ্ট উত্তর অবশ্য অত্রিবাবু দেননি।

সরাসরি মুকুলের অভিযোগের প্রসঙ্গে না গেলেও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে ‘বিশ্ববাংলা’র কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ‘‘বাংলায় যদি বিশ্ব আসে, কারও আপত্তি থাকতে পারে? রাজনীতির সংকীর্ণতার জন্য মনটাকে ছোট করতে নেই!’’

প্রায় একই সময়ে তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুকুলকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, ‘‘চাটনিবাবু যতটুকু পড়াশোনা জানেন, তার মধ্যে থাকলেই ভাল হয়। কীসের কোম্পানি, কারা রেজিস্ট্রি করেছে, উপদেষ্টা কমিটিতে কারা আছে কিছুই জানেন না! এই জন্যই একটা বয়সের পরে তরুণদের সুযোগ দেওয়া উচিত!’’

Atri Bhattacharya
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy