কংগ্রেস-সিপিএম জোট করলেও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। দাবি মুকুল রায়ের। এ রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক সমীকরণই তৃণমূলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে মনে করছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠকে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই বলেও এ দিন ফের দাবি করেছেন মুকুল।
পড়ুন:
মাত্র ন’মাস আগে কী বলেছিলেন মুকুল রায়?
কাঁচরাপাড়ায় নিজের বাড়িতে মুকুল রায় শনিবার বলেন, ‘‘নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমি খুশি।’’ শুক্রবার রাতে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের একদা সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মুকুল রায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর এই প্রথম দলনেত্রীর বাড়ি গেলেন মুকুল রায়। মাঝে দীর্ঘদিন দলনেত্রী বা দলের কোনও নেতার সঙ্গে মুকুল রায়ের প্রায় কোনও যোগাযোগই ছিল না। তিনি নতুন দল গড়বেন বলেও জল্পনা চলছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে সংসদের সেন্ট্রাল হলে মমতা-মুকুল সাক্ষাৎ হয়। তার পরই জল্পনা অন্য দিকে মোড় নেয়। মুকুল রায় তৃণমূলে আবার পুরনো জায়গা ফিরে পেতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
গল্পগাছা সঙ্গে চা, দিদির বাড়িতে মুকুল
সেই জল্পনা কিছুটা স্তিমিত হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নেতাদের সঙ্গে দলনেত্রীর বৈঠকে আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও মুকুল রায় হাজির না হওয়ায়। শুক্রবার দলনেত্রীর বাড়ি গিয়ে তিনি একান্তে বৈঠক করায় ফের হইচই শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। গুঞ্জন শুরু হয় তৃণমূলের অন্দরেও।
শনিবার মুকুল রায়সে প্রসঙ্গে ফের বলেন, ‘‘আমি এখনও তৃণমূলের সাংসদ। বহু আন্দোলনে নেত্রীর সঙ্গী হয়েছি। তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম।’’ নির্বাচন নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি বলে জানান মুকুল রায়। তিনি বলেন, ‘‘ভোট নিয়ে তো দু’জনে কথা হয় না। এই সব কথা দলে আলোচনা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy