Advertisement
E-Paper

বিধায়কদের ‘ঘুমোনোর’ নির্দেশ মুকুলের

বুধবার দলের ধমক খেয়েছিলেন শশী পাঁজা। বৃহস্পতিবার সমঝে দেওয়া হল রহিমা মণ্ডল-কে! শশী পাঁজা রাজ্যের মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী। রহিমা উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক।

দেবারতি সিংহচৌধুরী

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:২৮
মুকুল রায়

মুকুল রায়

বুধবার দলের ধমক খেয়েছিলেন শশী পাঁজা। বৃহস্পতিবার সমঝে দেওয়া হল রহিমা মণ্ডল-কে!

শশী পাঁজা রাজ্যের মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী। রহিমা উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক। শশীকে বলা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি না নিয়ে কোনও বিষয়ে যেন ঠোঁট ফাঁকও না করেন! শত প্ররোচনাতেও না! আর রহিমাকে সামনে রেখে বার্তা দেওয়া হল দলের সমস্ত বিধায়ককে! স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, তৃণমূল বিধায়করা যেন দলের বাইরে কোনও কথা না বলেন। যে যাঁর নিজের এলাকায় স্রেফ ঘুমিয়ে থাকেন! দল যা সই করে দিতে বলবে, শুধু সে টুকু করে দিলেই চলবে!

শশী-র ‘অপরাধ’ ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে তিনি শিশু পাচারের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, বেসরকারি হোমে কে বাচ্চা এনে রেখেছে তা তাঁর দফতরের জানার কথা নয়। কিন্তু তাঁর ওই মন্তব্যের পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। রহিমা অবশ্য তেমন কিছু করেননি। মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করে দেগঙ্গার ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিন্টু শাহাদি-র বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে এ দিন তৃণমূল ভবনে এসেছিলেন তিনি। মুকুলবাবুকে রহিমা অনুরোধ করেন, ‘‘দাদা, মিন্টুকে পদ থেকে সরিয়ে দিন। উনি দলেরই লোকেদের খুন করার হুমকি দিচ্ছেন!’’ কিন্তু এটুকু শুনেই ঝাঁঝিয়ে ওঠেন তৃণমূল সহ সভাপতি। রহিমা বিবিকে বলেন, ‘‘দিদি কালই আমাকে বলে দিয়েছেন, বিধায়করা দলের বাইরে চলতে পারবেন না। বিধায়করা এখন থেকে নিজের এলাকায় ঘুমিয়ে থাকবে।’’ রহিমাকে মুকুল এও স্পষ্ট করে দেন, দল যে সিদ্ধান্ত নেবে বা কমিটি গড়ে দেবে তাই মুখ বুজে মেনে নিতে হবে। দরকার হলে সইও করে দিতে হবে।

‘মুকুলদার’ এমন বকুনি খেয়ে দৃশ্যত ভ্যাবাচাকা খেয়ে যান রহিমা। পরে এ ব্যাপারে মুকুলবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য বলেন,‘‘রহিমা বনগাঁর বাসিন্দা, বিধায়ক হয়েছেন দেগঙ্গার। দেগঙ্গার সবাইকে উনি কতটুকু চেনেন?’’ উত্তর চব্বিশ পরগনর প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি রহিমার পাল্টা যুক্তি রয়েছে। তাঁর কথায়,‘‘ জেলা পরিষদের কাজ করার সময় থেকেই জেলাটা চিনেছি। সপ্তাহে পাঁচ-ছ’দিন দেগঙ্গায় পড়ে থাকি। মুকুল দা কি ভুলে গিয়েছেন ভোটের প্রচারের সময় মিন্টু ওঁর হাতে মাইক দেননি! সব জেনেও যদি উনি এ কথা বলেন, কী আর বলার আছে!’’

Mukul Roy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy