প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের দুই জনপ্রতিনিধির বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ কিংবা বিডিও-র দফতরে জব কার্ড ‘কেড়ে’ নেওয়ার নালিশ জানাতে ভিড়— অভিযোগের পাহাড় জমছিল দিন কয়েক ধরেই।
জেলার আনাচ কানাচ থেকে আসা অভিযোগ সামাল দিতে হিমসিম খাওয়া জেলা পরিষদ অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র চালু করল মুর্শিদাবাদে।
মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির চেম্বারের লাগোয়া ঘরেই সেল খুলে চালু হয়েছে অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়া। সেখানে মোতায়েন হয়েছেন এক কর্মী। তাঁর কাছে অভিযোগ জানানো যাচ্ছে। এ ছাড়াও জেলাপরিষদে আগে থেকে অভিযোগ ও পরামর্শ জানানোর জন্য রাখা হয়েছে একটি বাক্স। সেখানে কেউ লিখিত অভিযোগ ফেলে যেতে পারেন।
ইতিমধ্যে ডোমকলের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কাটমানি ইস্যুতে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। নওদার কেদারচাঁদপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন জন পঞ্চায়েত কর্মী ও প্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগও এসেছে সেই সেলে। সেল খোলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতির দাবি, ওই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে অচিরেই।
শাসকদলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের মুখ ঘোরাতেই কি অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র?
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছি। দুর্নীতিকে আমাদের দল প্রশ্রয় দেয় না। তাই সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে আর্থিক এবং অন্যান্য অভিযোগ থাকলে মানুষ জানাতে পারেন। তদন্ত করে সেই সব অভিযোগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তাঁর দাবি, কাটমানি ইস্যুতে বিজেপি-র লোকজনকে উস্কানি দিয়ে জেলায় উন্নয়নের গতিরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
এই পরিস্থিতিতে উন্নয়ন মুলক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র’ খোলা হয়েছে। এর ফলে কাজে যেমন স্বচ্ছতা থাকবে, তেমনি মানুষের সঙ্গে জনগনের নিবিড় যোগাযোগ বাড়বে।
যদিও জেলা বিজেপির সহসভাপতি শাখারভ সরকার বলছেন, ‘‘রাজ্যজুড়ে শাসকদলের নেতারা কাটমানি খেয়েছেন। তাঁদের দলনেত্রীই কাটমানি ফেরানোর কথা বলেছেন। এর পরেও অভিযোগ!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy