উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৭-২৯ মে’র মধ্যে যে কোনও দিন ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের (নাক) এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান ভিএস চৌহান পরিদর্শনে আসবেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতিমধ্যে নাকের বিচারে ‘এ’ মান পেয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে নতুন পালক জুড়তে, ‘নাক’এর বিচারে আরও মানোন্নয়নে উদ্যোগী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে সব কারণে ‘নাক’এর এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যানের সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষের একাংশ।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলা বিভাগের গোলমাল মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে। ‘নাক’-এর কর্তৃপক্ষের সফরের সময় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই নিয়ে ভাবছেন তারা। বাংলা বিভাগের গোলমাল এবং তাকে কেন্দ্র করে পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মীদের বিবাদে ৮ মে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। উপাচার্যের দফতরে দু’পক্ষের গোলমালে জখম হন শিক্ষাকর্মীরা। পড়ুয়াদের কয়েকজনও জখম হন বলে পাল্টা অভিযোগ। সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গড়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তারপরেও পথেও নেমেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। ক্লাস বন্ধ করে ক্যাম্পাসের রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। যে কমিটি গড়া হয়েছে তা আন্দোলনকারীদের একাংশের পছন্দ নয় বলে দাবি। তাঁরা ইতিমধ্যেই ওই কমিটিতে প্রাক্তন বিচারপতি এবং এসসিএসটি কাউন্সিলের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন। গত দু’তিনদিনে নতুন করে কোনও গোলমাল না-হলেও আন্দোলনকারীদের একাংশ যে কোনও সময় ফের যদি পথে নামেন তা নিয়ে চিন্তিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকার বলেন, ‘‘এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তা বজায় থাকবে বলেই আমি আশাবাদী।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোর একাংশ এখনও ‘নাক’এর বিচারে কোনও শংসাপত্র পায়নি বা তার জন্য আবেদনও করেনি। ওইসব কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী। নাক-এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী ২৭-৩১ মে’র মধ্যে একদিন সেই সেমিনার হওয়ার কথা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, খোদ ‘নাক’এর চেয়ারম্যানই আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে যাতে গোলমাল না হয় তা চাইছেন কর্মীদের একাংশ। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে লালন চৌধুরী বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় সচল ও স্বাভাবিক থাকুক সেটাই আমরা সকলে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy