Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Nabanna

নিকটভ্রমণে জোর দিতে নীতি বদল নবান্নের

ঘরোয়া পর্যটনকে জনপ্রিয় করতে প্রথম বার সরকারে এসেই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরিতে জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২১ ০৫:৫৭
Share: Save:

দিনযাপনের স্বাভাবিক পন্থা-পদ্ধতি উল্টেপাল্টে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের পর্যটন-প্রবণতাতেও থাবা মেরেছে করোনা। তাতে বেড়াতে যাওয়ার অভ্যাস বদলে গিয়েছে অনেকটাই। গত বছর লকডাউনের পর থেকে দূরের গন্তব্যের বদলে ‘ঘর হতে শুধু দুই পা’ ফেললেই যে-সব পর্যটনস্থলে পৌঁছে যাওয়া যায়, সেই সব জায়গার প্রতি ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ বাড়ছে। এই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যটন নীতি পরিবর্তন-পরিমার্জনের পথে হাঁটছে রাজ্য।

ঘরোয়া পর্যটনকে জনপ্রিয় করতে প্রথম বার সরকারে এসেই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরিতে জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটন-কর্তাদের দাবি, ক্রমে বাংলার পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রতি ভিন্‌ রাজ্যের মানুষ এবং বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ এত বেড়েছে যে, গত বছরেই রাজস্থানকে পিছনে ফেলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এখন বাংলায় বছরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা আনুমানিক ১৬ লক্ষ এবং ভিন্‌ রাজ্যের পর্যটক-সংখ্যা অন্তত ৯ কোটি। কিন্তু অতিমারির ধাক্কায় গত বছর থেকেই বঙ্গে বাইরের পর্যটকদের গতিবিধি থমকে গিয়েছে।

অন্য দিকে, ঘরোয়া পর্যটকদের গতিবিধি বেড়েছে নিজের বা ভাড়ার গাড়িতে কয়েক ঘণ্টা দূরত্বের দিঘা, শান্তিনিকেতন, বিষ্ণুপুর, সজনেখালি, জলদাপাড়া, টিলাবাড়ির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। গত বছর অক্টোবর থেকে এ বছর মার্চের মধ্যে এই ধরনের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সরকারি পর্যটক আবাসের চাহিদা ছিল ৫১-৬৯ শতাংশের মধ্যে। পর্যটন-কর্তারা মনে করছেন, আগামী দিনেও মানুষের ভ্রমণ-অভ্যাস একই রকম থাকবে। তাই ঘরোয়া পর্যটন কেন্দ্রগুলির উপরে বাড়তি নজর দিচ্ছে রাজ্য।

পর্যটন-কর্তারা জানান, সরকারি পর্যটক আবাসের পরিকাঠামো এখন অনেক আধুনিক এবং সেগুলি পরিচালিতও হয় অনেক পেশাদারি ভঙ্গিতে। তার উপরে ভ্রমণার্থীদের পছন্দসই খাবার, লোকশিল্পীদের কাজে লাগিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্যাকেজ মানুষের স্বাদবদলকে ভিন্ন মাত্রা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে হেরিটেজ, ধর্মীয়, প্রাকৃতিক— এই তিন ক্ষেত্রকেই পর্যটনের ‘থিম’ করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। পাহাড়-সমুদ্র-অরণ্যকে ঘিরে রাজ্যের পর্যটন সমধিক পরিচিত। কিন্তু হেরিটেজ বা ধর্মীয় সার্কিট সে-ক্ষেত্রে দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে। সময়ের চাহিদা মেনে ঘরোয়া পর্যটনে এই দুই ক্ষেত্রকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা চলছে। এক পর্যটন-কর্তা বলেন, “ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা বহু মন্দির বা ধর্মীয় পরিকাঠামো সম্পর্কে অনেকেই অবহিত নন। অথচ সেগুলির ঐতিহাসিক ও শিল্পগত গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিহাসপ্রসিদ্ধ এলাকা বা পরিকাঠামোগুলিকে কেন্দ্র করেও জনপ্রিয় সার্কিট গড়ে তোলা সম্ভব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nabanna tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE