Advertisement
E-Paper

বাজেটের আগে অব্যবহৃত টাকা ফেরত নিচ্ছে নবান্ন

প্রাক-বাজেট এক বৈঠকে রাজ্যের চারশোরও বেশি ‘অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিস’ এবং ‘ট্রেজারি অফিসার’-দের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন অর্থসচিব এবং বাজেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমলা পারভেজ সিদ্দিকী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১৩

রাজ্য বাজেটের পরিকল্পনা খাতের অব্যবহৃত টাকা অবিলম্বে কোষাগারে ফেরত চাইল অর্থ দফতর। কোনও উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা অন্য কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাতে হলে অর্থ দফতরের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শনিবার নবান্নের সভাঘরে অর্থ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

প্রাক-বাজেট এক বৈঠকে রাজ্যের চারশোরও বেশি ‘অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিস’ এবং ‘ট্রেজারি অফিসার’-দের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন অর্থসচিব এবং বাজেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমলা পারভেজ সিদ্দিকী। সেখানে জানানো হয়, পরিকল্পনা বরাদ্দের ব্যবহার না হওয়া টাকা ফিরিয়ে নিতে হবে। শুধু সরকারি দফতর নয়, অধীনস্থ সংস্থাগুলির হাতেও পড়ে থাকা টাকা ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কাজের জন্য অগ্রিম টাকা রাজকোষ থেকে তুলতে হলেও নবান্নের অনুমতি প্রয়োজন।

নবান্নের খবর, পুরো অর্থ ব্যবস্থাটি এখন বৈদ্যুতিন বা ‘ই’ প্রথায় চলছে। তাই পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অফিসারদের আরও দ্রুত কাজ করা এবং উন্নয়নমূলক কাজ যাতে অর্থ দফতরের ঢিলেমির জন্য শ্লথ না হয়ে যায় তা বিশেষ ভাবে দেখতে নির্দেশ দেন অর্থসচিব। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন পেতে ভোগান্তির অবসানে একগুচ্ছ নির্দেশ দেন তিনি।

দফতরের দাবি, গত পাঁচ বছরে আর্থিক ব্যবস্থাপনা দেখার জন্য কর্মীদের নিজস্ব পোর্টাল এইচআরএমএস, সরকারের ঘরে টাকা দেওয়ার গভর্নমেন্ট রিসিট পোর্টাল(গ্রিপস), ই়-পেনশন, ইন্টার-ট্রেজারি ট্রান্সফার অব ফান্ড, অনলাইন জিপিএফ সুবিধা, গ্রুপ-ডি কর্মীদের অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবস্থাপনা, কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর অনলাইন ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার, গর্ভমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস এবং সরকারি কাজে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর ফলে অর্থ দফতরে ফাইল আটকে থাকার দিনও শেষ হয়েছে। অর্থ দফতরের কর্তাদের দাবি, সামগ্রিক ই-ব্যবস্থাপনা চালু হওয়ার পর তিন দিনের বদলে এখন একটি বিল তৈরি করতে গড়ে ১.২৬ দিন লাগছে। আগে যেখানে পেনশন পেতে গড়ে অন্তত সাত দিন দেরি হত, এখন তা কমে গড়ে ১.২৩ দিন হয়েছে। রাজকোষের মাসিক হিসাব মেলাতে আগে যেখানে অন্তত গড়ে ২.৯৮ দিন দেরি হত, এখন তা কমে হয়েছে মাত্র ০.৩২ দিন।

Nabanna Money Budget
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy