E-Paper

বিবাদের জের, বোসকে এড়ানোর বার্তা নবান্নের

ফল প্রকাশের পরে ১০ দিন কেটে গেলেও নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ হয়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, রীতি মেনেই এ ব্যাপারে রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পরিষদীয় দফতর।

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ০৮:০৬
nabanna

নবান্ন। —ফাইল চিত্র।

নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে এড়াতে চাইছে নবান্ন। শপথের জন্য বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে নতুন পদক্ষেপের পরে এই চর্চাই মাথা তুলেছে রাজনৈতিক মহলে।

ফল প্রকাশের পরে ১০ দিন কেটে গেলেও নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ হয়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, রীতি মেনেই এ ব্যাপারে রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পরিষদীয় দফতর। কিন্তু রাজভবনের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পরিষদীয় দফতর থেকে লিখিত ভাবে শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠানোই রীতি। এবং তার ভিত্তিতেই সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপাল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বরানগর ও ভগবানগোলার নবনির্বাচিত দুই প্রতিনিধির শপথের জন্য পরিষদীয় দফতর কোনও চিঠি রাজভবনে পাঠায়নি। বরং, সেই চিঠি গিয়েছে বিধানসভার সচিবের কাছ থেকে। তার পরেই রাজভবন-নবান্নের সাম্প্রতিক বিবাদের কথা মাথায় রেখে নতুন জটিলতার আঁচ মিলছে।

পরিষদীয় প্রথা মতো, উপনির্বাচনে নির্বাচিতদের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল শপথের দায়িত্ব বিধানসভার স্পিকার বা তাঁর পছন্দের কারও হাতে দিতে পারেন। কিন্তু রাজ্যের শাসক ও রাজ্যপালের সংঘাতের জেরে এই ব্যবস্থায় বদল এনেছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বার দুয়েক এই রকম পরিস্থিতিতে ধনখড়ের সিদ্ধান্তে সেই বিবাদের ছাপ স্পষ্ট হয়েছিল। স্পিকারের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে তিনি ডেপুটি স্পিকারকে সেই দায়িত্ব দিয়ে ব্যতিক্রমী অবস্থান নিয়েছিলেন। তা নিয়ে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তরে দীর্ঘ চাপানউতোরও চলেছিল।

এ বার ভিন্ন পথ নিয়েছে নবান্ন। সূত্রের খবর, পরিষদীয় দফতর এই সংক্রান্ত চিঠি তৈরি করেও তা রাজভবনে পাঠায়নি। ফলে, দফতরের তরফে যোগাযোগ আনুষ্ঠানিক করা হয়নি। বরং, পরিষদীয় দফতরের আগ্রহে শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বিধানসভা। রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যে অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল, সরকারের এই পদক্ষেপ তারই পরিণতি। রাজ্যপালের দিকে আঙুল তুলে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটের প্রচারে জনসভাগুলিতে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্যপাল বৈঠকে ডাকলে তিনি রাজভবনে যাবেন না, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nabanna CV Ananda Bose Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy