বলদ নিয়ে যে এমন গলদঘর্ম অবস্থা হবে কে জানত!
গরু হলেও না হয় একটা কথা ছিল। কিন্তু হাড় জিরজিরে তিন তিনটে বলদ নিয়ে মহা আতান্তরে পড়েছেন ডিহিগ্রামের হকতুল শেখ। থানা আর বাড়ি করতে করতে হয়রান ওই বৃদ্ধ বলছেন, “এখন ঘর সামলাব না খোঁয়াড় তাই তো বুঝে উঠতে পারছি না। এতদিন শুনেছিলাম, বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছত্রিশ। কিন্তু বলদে ছুঁলে কী হয়, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।”
সুতির জগতাই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে একটি খোঁয়াড় চালান হকতুল। জায়গাটা নিজের। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে এক বছরের জন্য খোঁয়াড় চালানোর অনুমতি পেয়েছেন ওই বৃদ্ধ। খেতে ঢুকে গরু, ছাগল ফসল খেয়ে ফেললে খেত মালিকরা সেই গবাদি পশু ধরে ওই খোঁয়াড়ে দিয়ে আসেন। তারপর গরু কিংবা ছাগলের মালিক পঞ্চায়েত থেকে বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিয়ে সেই পশু নিয়ে যান। তাতে হকতুলেরও দু’পয়সা আয় হয়। কিন্তু যে ক’দিন ওই পশু খোঁয়াড়ে থাকবে ততদিন তাদের খাওয়া-দাওয়া, দেখভালের যাবতীয় দায়িত্ব নিতে হয় হকতুলকেই। এছাড়াও আছে আটকে পড়া পাচারের গরু। পুলিশ কিংবা বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে তাদেরও ঠাঁই হয় হকতুলের খোঁয়াড়ে। সেক্ষেত্রেও নিয়ম একই। তবে কোনও পুলিশ ‘সদয়’ হলে ‘পাচার কেসের’ গরু-মোষের সৌজন্যে হকতুলের আয়ও কিঞ্চিৎ বেড়ে যায়।