রেস্তরাঁ থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী। আক্রান্ত তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল মুর্শিদাবাদের সালারে। ইতিমধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক তিন জনের খোঁজ চলছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় স্কুটারে চেপে দু’জন বেরিয়েছিল। স্কুটারটি চালাচ্ছিল ১৮ বছরের এক তরুণ। পিছনের আসনে বসেছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের পরিবার সূত্রে খবর, ঠাকুর দেখে একটি রেস্তরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করতে গিয়েছিল তারা।
রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে স্কুটার নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে কুলুরি কালভার্ট এলাকায় তাদের আটকায় জনা পাঁচেক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। দু’জনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোথায় গিয়েছিল তারা। জবাব পেয়েও ওই পাঁচ জন ‘অপমানজনক কথাবার্তা’ বলতে থাকেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে বচসা শুরু হয়। তরুণকে বেধড়ক মারধর করেন পাঁচ জন। বচসা চলাকালীন কিশোরীকে টেনেহিঁচড়ে একটি ঝোপের কাছে নিয়ে গিয়ে পাঁচ জন তাকে ধর্ষণ করেন।
সোমবার রাতে কোনও রকমে বাড়ি ফেরে মেয়েটি। ঘটনাক্রমে সালার থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। মঙ্গলবার সকালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশনের কার্যালয়ে। তার নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করানো হবে। বাকি তিন অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন:
এমন একটি ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারি এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘একটি গণধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে নির্যাতিতার ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ।’’