—প্রতীকী চিত্র।
মুর্শিদাবাদের নিয়ামতপুরে সিপিএম কর্মী রিন্টু শেখের খুনের ঘটনায় দুই তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করল হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম আলাউদ্দিন শেখ ও এজেল শেখ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সিপিএম কর্মীর স্ত্রী জানাতুল্লা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদেরকে। ধৃত দু’জনকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মৃত সিপিএম কর্মীর পরিবারের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখের ছেলে। তাঁকেও গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
হরিহরপাড়ার রায়পুর অঞ্চলের নিয়ামতপুরে গত ৮ জুলাই, পঞ্চায়েত ভোটের দিন আক্রান্ত হন সিপিএম কর্মী রিন্টু শেখ। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত সিপিএম কর্মীকে মুর্শিদাবাদ থেকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সিপিএমের দাবি, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে প্রার্থীর সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন রিন্টু। সেখানেই প্রার্থী আক্রান্ত হন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে রিন্টু এবং একাধিক সিপিএম কর্মী আক্রান্ত হন। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এবং তাঁর ছেলের দিকে অভিযোগ ওঠে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। হামলার সময় বুথে কোনও পুলিশকর্মী ছিলেন না বলে অভিযোগ সিপিএমের। রিন্টুর দাদার দাবি, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তাঁদের উপর ৬০ থেকে ৭০ জন হামলা করেন। তাতে সাত থেকে আট জন গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাঁর ভাই রিন্টু।
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ। তিনি বলেন, “ভোট প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছিল বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মী সমর্থক। তাঁরা লাঠিসোঁটা, বাঁশ নিয়ে বুথে ভোটারদের উপর হামলা চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে পুলিশ তদন্ত করুক।” মৃত রিন্টুর স্ত্রীর দাবি, এই খুনের প্রধান মাথা নিয়ামত শেখের ছেলে, অবিলম্বে পুলিশের উচিত তাঁকে গ্রেফতার করা।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেছেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে, দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy