নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ দিনের লো ভোল্টেজ সমস্যা সমাধানের জন্য হাইটেনশন ইলেকট্রিক লাইন টানার কাজ চলছিল। একমাত্র খেলার মাঠের উপর দিয়ে হাইভোল্টেজ তার যাওয়া নিয়ে বিবাদ শুরু হয় দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে। ট্রান্সফর্মার বসাতে বাধা দেওয়ায় পুলিশ ডেকে এনে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের উপরে লাঠিচার্জ করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলর। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অন্তত ২০০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করল! এত সংখ্যক সমর্থক দলে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত বাম শিবির। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, ভুল বুঝে গিয়েছে। ঠিকই ফিরে আসবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের ২৩ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আজাদ পল্লি এবং পশ্চিম কারিকর পাড়ার বিবাদ বহু দিনের। বুধবার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো নিয়ে গন্ডগোল বাধে। ট্রান্সফর্মার বসাতে এলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রের খবর, দুই পাড়ার বচসায় দীর্ঘ দু’ঘণ্টা কাজ বন্ধ রাখতে হয়। অভিযোগ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাজাহান শেখের মদতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাউন্সিলরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ২০০ পরিবার সিপিএমে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর বুধবার সন্ধ্যাতেই সভার আয়োজন করে যোগদান করানো হয় তাঁদের। সিপিআইএমের পক্ষে শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সঞ্জিত ঘোষ বলেন, ‘‘সভা বানচাল করতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। শেষে মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে চলে যোগদান প্রক্রিয়া।’’
কাউন্সিলর শাজাহান বলেন, ‘‘এ রকম ঘটনা আগেও বহু বার হয়েছে। তবে আমি আশাবাদী, যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা আবার ফিরে আসবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy