ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের আবাসনে ডাকাতি করে পালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। তাদের ধাওয়া করে বমাল ৩ দুষ্কৃতীকে পুলিশ পাকড়াও করেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি থেকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন কাজি আব্দুল মান্নান শেখ নামে এক হোমগার্ড। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ইসলামপুর থানার পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় দুষ্কৃতীদের ধরা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য ইসলামপুর থানার পুলিশ বাহিনীকে পুরস্কৃত করা হবে।” ডোমকল মহকুমা পুলিশ অফিসার অরিজিৎ সিংহ বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে একটি কার্বাইন, একটি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ২৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি মোবাইল, ৩ হাজার টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক ২ জনের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।” পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম হামজিল শেখ, বান্টি ভাস্কর। ওই দু’ জনের বাড়ি ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল লাগোয়া নশিপুর গ্রামে। তৃতীয় জনের নাম মির চাঁদ আলি ওরফে আব্বাসউদ্দিন। বাড়ি বর্ধমানের কাটোয়ায়।
হাসপাতাল লাগোয়া সরকারি আবাসনে থাকেন স্বেচ্ছাশ্রমে চালানো একটি বেসরকারি অবৈতনিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পৃথ্বীরাজ ঘোষ হাজরা। তাঁর মা ওই হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। সেই সুবাদে পৃথ্বীরাজ ওই আবাসনে থাকেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। পৃথ্বীরাজ বলেন, “রাত পৌনে ১২টা নাগাদ জানালা দিয়ে ঘরের ভিতরে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে দিয়ে দুষ্কৃতীরা দরজা খুলতে বলে। দরজা না খুললে গুলি করার হুমকি দেয়। প্রাণের ভয়ে দরজা খুলে দিই। ওরা ঘরে ঢুকেই টাকা গয়না চায়। আমরা গরিব মানুষ। টাকা, গয়না নেই বলতেই আমাকে মারধর করে।” ইতিমধ্যে দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি চালিয়ে ভয় দেখায় পৃথ্বীরাজকে। এই আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। মিনিট দশেকের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যায়। প্রতিবেশী বাপি শেখ বলেন, “পুলিশকে লক্ষ করে দুষ্কৃতীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ডাকাতরা গুলি চালাতে চালাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়।” খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছন ডোমকল মহকুমা পুলিশ অফিসার অরিজিৎ সিংহ। তিনি বলেন, “ইসলামপুর থানার সব পুলিশ কর্মী রাস্তায় নেমে পড়ে। পিছু ধাওয়া করে ডাকাত দলের ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ডাকাত দলের ২ জন পলাতক।”