Advertisement
E-Paper

দ্বাদশী কনেকে উদ্ধার করা হল নবদ্বীপে, ভয়ে পালিয়ে গেলেন ৪৭ বছর বয়সি বর! খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ

বরের বয়স ৪৭ বছর। কনে ১২। মেয়েটির দিদি বোনের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তার পরেই মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩০
Marry

১২ বছরের কনে, ৪৭ বছরের বর। —নিজস্ব চিত্র।

মাত্র ১২ বছর বয়স। সেই মেয়েকে পাত্রস্থ করতে উঠে পড়ে লাগে পরিবার। বাবার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করবে না বলে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল কিশোরী। সাহায্য করেছিলেন মা-ঠাকুরমা। মেয়েটি আশ্রয় নেয় নবদ্বীপে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। কিন্তু সেখান থেকে আবার মেয়েটির বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। এ বার শেষ মূহূর্তে বেঁকে বসেন পাত্র। উপায়ান্তর না দেখে কিশোরীকে এক ৪৭ বছরের ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দেন ঠাকুরমা। দিন কয়েক আগে চারহাত এক হয়। মঙ্গলবার ওই ‘নাবালিকা বধূ’কে উদ্ধার করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। তবে পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বর।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৬ জানুয়ারি নবদ্বীপের ইদ্রাকপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় জলের ব্যবসায়ী বুদ্ধদেব ঘোষের সঙ্গে এক কিশোরীকে বিয়ে করেন। বরের বয়স ৪৭ বছর। কনে ১২ বছর বয়সি। মেয়েটির দিদি বাপের বাড়ির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তার পরেই বুদ্ধদেবের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাবালিকাকে পাঠানো হয়েছে একটি হোমে। অপ্রাপ্তবয়স্ককে বিয়ে করার অপরাধে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে মামলা। তাঁর খোঁজে রয়েছে পুলিশ।

ওই নাবালিকার বাড়ি কোতোয়ালি থানা এলাকায়। সেখানকার এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন বাবা। কিন্তু ওই যুবক মদের নেশায় আসক্ত জানতে পারে মেয়েটির ঠাকুরমা এক আত্মীয়ের সাহায্য চান। তাঁর সহায়তায় নবদ্বীপ থানা এলাকার ইদ্রাকপুর মাঝেরপাড়ার এক জনের বাড়িতে ঠাঁই হয় মেয়েটির। সেখানে আবার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় মেয়েটির। কিন্তু বিয়ের দিনে বেঁকে বসেন পাত্র। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, তিনি অবিবাহিত। নাবালিকাকে বিয়ে করতে তাঁর আপত্তি নেই। তার পর বুদ্ধদেবের বাড়িতেই হিন্দু শাস্ত্র মতে বিয়ে হয়।

কিন্তু এই বয়সে বোনের বিয়েতে খুশি হননি দিদি। তাঁর শ্বশুরবাড়ি নবদ্বীপ এলাকায়। বোনের বিয়ের খবর পেয়ে কয়েক দিন আগে বুদ্ধদেবের বাড়িতে যান তিনি। তাঁর দাবি, ওই বিয়ের প্রতিবাদ জানানোয় তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি তখন পুলিশের দ্বারস্থ হন। অন্য দিকে বুদ্ধদেবের বাবা রবিন ঘোষ দাবি করেন, ‘‘মেয়েটির বাড়ির লোক পাত্র খুঁজছিল। আমি বলি, আমার ছেলে অবিবাহিত। পাত্রীপক্ষের আপত্তি ছিল না বলে ছেলের বিয়ে দিয়েছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এত আইন-কানুন জানলে তো এমন ঝামেলায় পড়তাম না।’’

Child Marriage Preventing Child Marriage Nadia Nabadwip police Crime News
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy