Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩
Congress

মুর্শিদাবাদে প্রায় ৮ হাজার তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী কংগ্রেসে! মিথ্যা প্রচার বলে দাবি দুই দলেরই

কংগ্রেসের এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি। দুই দলেরই দাবি, তাদের দলের কেউই কংগ্রেসে যোগ দেননি।

A big number of workers from TMC and BJP joined the Congress in Murshidabad

সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের পর এ বার মুর্শিদাবাদে তৃণমূল ও বিজেপি থেকে একঝাঁক কর্মী যোগ দিলেন কংগ্রেসে। নিজস্ব ছবি। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ২৩:০৬
Share: Save:

সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলের পর এ বার মুর্শিদাবাদে তৃণমূল ও বিজেপি থেকে একঝাঁক কর্মী যোগ দিলেন কংগ্রেসে। তাদের দাবি, শনিবার দুপুরে বহরমপুর জেলা প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে তৃণমূল ও বিজেপি থেকে প্রায় ১,৫৭০ জন কর্মী হাত শিবিরে যোগ দিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত থেকে তাঁরা কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে নেন। একই দিনে খড়গ্রাম ব্লকেও কংগ্রেসের একটি যোগদান কর্মসূচি ছিল। কংগ্রেস সূত্রে দাবি, সেখানে পিরতলার মাঠে খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত এবং পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে ৬০০০ জন তৃণমূল কর্মী দলে যোগ দিয়েছেন। সেখানেও অধীরই তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। যদিও এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি। দুই দলেরই দাবি, তাদের দলের কেউই কংগ্রেসে যোগ দেননি।

Advertisement

শনিবার যোগদান কর্মসূচিতে অধীর তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘তৃণমূলে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ বার তৃণমূল দলটাই শেষ হয়ে যাবে।’’ কংগ্রেসে যোগদান করে খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আবুল। বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। আশিস অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘একুশের নির্বাচনে দল বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আবুল হাসনাত। তাঁর বিরুদ্ধে এমনিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হত। উচ্ছিষ্টদের নিয়ে কেউ যদি নাচানাচি করে, তা হলে কিছু করার নেই।’’

এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘কেউ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেননি। এরা একই লোককে ৬-৭ বার করে যোগদান করায়। আর আমরা যাঁদের দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়ে দিচ্ছি, কংগ্রেস তাঁদের মাথায় তুলে নাচছে।’’ বিজেপির মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারও বলেন, ‘‘বিজেপি থেকে কেউ অন্য দলে যোগদান করেনি। তৃণমূল থেকে সবাই পালিয়ে আসছে। এটাই বাস্তব।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.