দোল উপলক্ষে আগামী শুক্রবার চাকদহ বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে কন্ট্রোলরুম খোলা হবে। এছাড়াও তৈরি থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা গ্রুপ। মদ্যপদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
চাকদহ থানার আই সি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দোলের দিন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হবে। থাকবে রাস্তায় নাকা চেকিং। এ ছাড়া পুলিশের কাছে অ্যালকোহল ডিটেকশান যন্ত্র থাকবে।’’ তিনি জানান পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলার আবেদন জানাচ্ছি।
আই সি জানান, কোনওরকম গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। অনিচ্ছুক ব্যক্তিকে রঙ দেওয়া যাবে না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। তাই মাইক বাজানো যাবে না। তবে নীচু স্বরে বক্স বাজানো যেতে পারে। এখন রমজান চলছে। দোলের দিন আবার শুক্রবার। তাই অন্য ধর্মের মানুষকে বিরক্ত করা যাবে না। যারা বেপয়োয়া গাড়ি চালাবে, মদ খেয়ে উৎপাত করবে, তাদের ধরা হবে।
রবিবার চাকদহ থানার উদ্যোগে সম্প্রীতি মঞ্চে দোল উপলক্ষে এক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক কুমার মণ্ডল, ব্লক শিল্প উন্নয়ন আধিকারিক বিকাশ দেবনাথ, পুরপ্রধান অমলেন্দু দাস, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, মসজিদের ইমাম, জেলা পরিষদ সদস্য, পঞ্চায়েত প্রধান, দোল উৎসব কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।অশোক বলেন, ‘‘দোলের দিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমাদের অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এলাকার পরিস্থিতি দেখার জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াব। এছাড়াও কোথাও কোনও সমস্যা হলে, সেটা জানানোর জন্য আমাদের সদস্যদের বলা হবে।’’
চান্দুরিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌমিতা রায় বলেন, ‘‘দোলের দিন পঞ্চায়েত অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। পুরপ্রধান অমলেন্দু দাস, পুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ হিংনারা পঞ্চায়েতের প্রধান নিরুপমা বিশ্বাস বলেন, ‘‘সকল সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে কন্ট্রোল রুম খোলার ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)