Advertisement
E-Paper

বাংলায় থাকা ওড়িয়াদের সঙ্গে যদি রাজ্য সরকার একই কাজ করে? ওড়িশায় বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা নিয়ে হুঁশিয়ারি মহুয়ার

মহুয়ার অভিযোগ, বাংলায় কথা বলার কারণে মুর্শিদাবাদ থেকে ওড়িশায় যাওয়া শ্রমিকদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে দাগিয়ে দিয়ে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গত ২৭ নভেম্বর। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দেখানো সত্ত্বেও রেয়াত করা হয়নি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৩
TMC Mahua Moitra warns Odisha Police about harassment of Bengali migrant workers

কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করেছিলেন, মুর্শিদাবাদের চার জন বাংলাভাষীকে ‘বাংলাদেশি’ দেগে দিয়ে ঘরছাড়া করেছে পুলিশ। পড়শি রাজ্যের নয়াগড়ের পুলিশ সুপারকে কোর্টে টানারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বুধবার আরও এক ধাপ এগিয়ে মহুয়া হুঙ্কার দিলেন, একই কাজ যদি এ রাজ্যের সরকার পশ্চিমবঙ্গে থাকা লক্ষ লক্ষ ওড়িয়ার সঙ্গে করে, তখন কী পরিস্থিতি হবে?

সংসদ চত্বর থেকে এক ভিডিয়ো বার্তায় মহুয়া গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গেও মালি, কলমিস্ত্রি, রাঁধুনি-সহ লক্ষ লক্ষ ওড়িয়া জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের সঙ্গেও যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার একই আচরণ করে? কী পরিস্থিতি হবে ভেবে দেখেছেন?’’ ফের বুধবার নয়াগড়ের পুলিশ সুপারকে আদালতে টানার কথা বলেছেন মহুয়া।

কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, মুর্শিদবাদের জলঙ্গির চার জন শীতবস্ত্র বিক্রির জন্য নয়াগড়ে গিয়েছিলেন। গত ১৮ বছর ধরে তাঁরা ওড়িশায় গিয়ে শীতের সময়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বাংলায় কথা বলার কারণে তাঁদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে দাগিয়ে দিয়ে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গত ২৭ নভেম্বর। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দেখানো সত্ত্বেও রেয়াত করা হয়নি। নিরুপায় হয়ে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের দফতরে যোগাযোগ করেন ওই চার জন। এ রাজ্যের পুলিশও জানায়, তারা পশ্চিমবঙ্গের বৈধ নাগরিক। তাতেও ছাড় মেলেনি। মহুয়ার অভিযোগ, যে বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে চার জন থাকতেন, সেই বাড়ির মালিককে চাপ দিয়ে এই চার জনকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

ওড়িশা থেকে ফিরে আসা মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের এক জন সাহেব শেখ বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে আমাদের এলাকার এক শ্রমিককে মারধর করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করিয়েছিলেন নয়াগড়ের স্থানীয় কিছু লোক। এ বার আমাদের বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থা করা হল। তা-ও আবার পুলিশ এই কাজ করল।’’ ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেন, ‘‘ঘটনার খবর আমাদের কাছে রয়েছে। আমাদের তরফে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় রাখছে।’’

Mahua Moitra TMC MP Bengali Migrant Worker Migrant Workers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy