পোস্টার লাগাচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
মা হারিয়েছে মেয়ে।
মা ছাড়া একান্ত আপন বলে, তাঁর নেই আর কেউ। হারানো মায়ের খোঁজে তাই জেলার অলিগলি রাজপথ ঘুরে খোলা দেওয়ালে পোস্টার লাগিয়ে বেড়াচ্ছেন মেয়ে।
প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস বি-টেকের ছাত্রী। বলছেন, ‘‘মা ছাড়া আমার চলবে কি করে বুলন, কারও সঙ্গে কথা বলারও তো কেউ নেই।’’ বাবা আছেন বটে। কিন্তু অসুস্থ বাবা প্রায় বাক-হারা।
নওদার বাসিন্দা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীটি সে দিন ছিল চাকরির পরীক্ষা। গিয়েছিলেন সোদপুর। খবরটা এসেছিল তখনই, পড়শিদের ফোনে জানতে পারেন, দুয়ার খুলে বেরিয়ে গিয়েছেন সুনীতি।
ঝাউবোনা গ্রামের সুনীতি বলছেন, ‘‘শুনেছিলাম মা গিয়েছেন মামার বাড়ি। তেমনই কথা ছিল। কিন্তু মামার বাড়ি ফোন করে জানলাম যায়নি সেখানে। তা হলে?’’ সেই থেকে হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছেন মা’কে।
কখনও নওদা কখনও বা বেলডাঙা তো পরের ট্রেনে বহরমপুর এসে পোস্টার দেওয়ার ফাঁকে চোখ ছলছল মেয়ে জানাচ্ছেন, বাবা নেই। দিদি পম্পার বিয়ে হয়েছিল দুর্গাপুরে। কিন্তু বছর চারেক আগে সাংসারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হন দিদি। সেই থেকে সংসারে কথা বলার লোক তাঁর মা।
ছাত্রীটি বলেন, ‘‘আমি নওদা থানায় গিয়ে মিসিং ডাইরি করেছি। পুলিশের কাছে কোন খোঁজ না পেয়ে মায়ের ছবি নিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে দেওয়ালে দেওয়ালে লাগিয়ে বেড়াচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy