—প্রতীকী ছবি।
চাহিদা মতো পণ না দেওয়ায় গৃহবধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়ায়। বুধবার রাতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর থেকে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়েরা হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের মেয়েকে। স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জন সদস্যের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই হরিহরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে গৃহবধূর পরিবার। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির বাকি লোকজন। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দুয়েক আগে নওদা থানার চণ্ডীপুর গ্রামের বছর উনিশের যুবতী প্রিয়ঙ্কা খাতুনের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিবাহ হয় হরিহরপাড়া থানা এলাকার শাহজাদপুর গ্রামের মেহেদি শেখের। ওই দম্পতির একটি এক বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে বাড়তি পণের দাবিতে যুবতীর উপরে অত্যাচার করত তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ইতিমধ্যেই হরিহরপাড়া থানায় স্বামী এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে যুবতীর পরিবার। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, “দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে।”
গৃহবধূর পরিবারের সদস্য আলফাজন বিবি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “বিয়ের সময় প্রায় তিন লক্ষ টাকা পণ দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও নিয়মিত টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এত টাকা আমরা দিতে পারিনি বলে আমাদের মেয়েটাকে মেরে ফেলল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy