নিষিদ্ধ মিহি প্লাস্টিক ধরতে রানাঘাট পুরসভার হাতে এসেছে ‘স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’র (সুডা) দেওয়া ‘মিনি ডিজিট্যাল থিকনেস গেজ মিটার’। এই যন্ত্র হাতে আসায় প্লাস্টিক-বিরোধী অভিযানে গতি আসবে বলে দাবি করছেন পুরকর্তারা।
রানাঘাট শহর জুড়ে কমবেশি সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে প্লাস্টিক। নদীর পার হোক কিংবা রাস্তার পাশে থাকা আঁস্তাকুড় থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ। অনেক সময় মিহি প্লাস্টিকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শহরের নিকাশি নালা। সামান্য বৃষ্টিতেই ফল ভুগতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
অথচ বার বার অভিযান চালিয়েও পুরসভা এই শহরকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে পারেনি। পুরসভার আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, যখনই অভিযান চলেছে, ব্যবসায়ীদের একাংশের বিতর্ক বেধেছে পুরকর্মীদের। কারণ, আইন অনুযায়ী ১২০ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না। ছাড়পত্র রয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ মাইক্রন পর্যন্ত। কিন্তু কোন প্লাস্টিক কত মাইক্রন পুরু তা পরিমাপের কোনও যন্ত্র এত দিন পুরসভার হাতে ছিল না।
রানাঘাট পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে এক মাসের পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। শহরে প্লাস্টিক এবং থার্মোকলের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তা কার্যকর করা যায়নি। বর্তমানে শহরের ২০টি ওয়ার্ডে ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৩৫ টন কঠিন বর্জ্য শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত হয়। তার বেশির ভাগটাই প্লাস্টিক।
তবে রানাঘাটের পুরপ্রধান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুধু অভিযান চালানো বা এই ধরনের যন্ত্র ব্যবহার শহরকে প্লাস্টিকের দূষণমুক্ত করতে পারবে না। তার জন্য প্রয়োজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের সচেতনতা। সকলের এগিয়ে আসা দরকার।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)