E-Paper

সরকারি চাকরির নামে ন’লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, ধৃত তৃণমূল নেতা 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রানাঘাট ১ ব্লকের রামনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সৌভিক গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৩ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের টিকিটের দাঁড়িয়ে বিজেপির কাছে হেরে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫১
তৃণমূল নেতা সৌভিক ঘোষ।

তৃণমূল নেতা সৌভিক ঘোষ। ছবি: সুদেব দাস।

রাজ্য সরকারি চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি দেওয়ার নামে নয় লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রানাঘাটের এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিন পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা পার্থ মাইতি রেলপুলিশের কাছে সৌভিক ছাড়াও সুখেন দাস, সুমন দেবনাথ, স্নেহাংশু দাস ও কুনাল দে নামে চার জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর মধ্যে কুনালের বাড়ি কলকাতার সার্কাস অ্যাভিনিউ-তে। বাকি চার জন নদিয়ার বাসিন্দা। রবিবার রাতে রানাঘাট থেকে অভিযুক্ত সৌভিক ঘোষ ওরফে গুড্ডুকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার রেলপুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রানাঘাট ১ ব্লকের রামনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সৌভিক গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৩ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের টিকিটের দাঁড়িয়ে বিজেপির কাছে হেরে যায়। একসময় ওই পঞ্চায়েতে দলের সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাকে। রবিবার রাত প্রায় সাড়ে ৯টা নাগাদ একটি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি থেকে ফেরার সময় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আঁইশতলার তেইশ বিঘা এলাকায় তাকে পাকড়াও করে পুলিশ।

অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ডিসেম্বরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার হোটর রেলস্টেশনে তাঁর সঙ্গে অভিযুক্তদের আলাপ হয়। তারা নিজেদের রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়। বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিভিন্ন দফতরের পরিচয়পত্রও দেখায়। সেই ফাঁদে পা দিয়েই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি পাওয়ার জন্য তিনি কয়েক দফায় মোট নয় লক্ষ টাকা দেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, বার বার চাওয়ার পরে তাঁকে একটি ‘নিয়োগপত্র’ দেওয়া হয়েছিল। সেটি নিয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়ে পার্থ জানতে পারেন, সেটি ভুয়ো। সরকারি নথি নকল করা ও প্রতারণার মতো একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যদিও সৌরভের মা গঙ্গা ঘোষের দাবি, "রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে ওকে ফাঁসানো হয়েছে।"

লোকসভা নির্বাচনের মুখে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ায় প্রত্যাশিত ভাবেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি। দলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, "তৃণমূল দলটা দুর্নীতি আর কাটমানিতে ছেয়ে গিয়েছে। মন্ত্রীরা একে-একে জেলে যাচ্ছেন। সুতরাং নিচুতলার নেতাকর্মীরাও যে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।" তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, "অভিযুক্ত মানেই অপরাধী নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে। আমাদের দল অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ranaghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy