Advertisement
E-Paper

খুনের গেরো, বিপাকে স্কুল

শান্তিপুরের বাগআঁচড়া হাইস্কুল পাঁচ দশক পার করে এসেছে। প্রত্যন্ত এই এলাকার পড়ুয়াদের অন্যতম ভরসা এই কো এড স্কুল।

সম্রাট চন্দ

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ০১:১০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

একটি রাজনৈতিক খুনের জেরে দিশেহারা দশা একটি স্কুলের!

সম্প্রতি শান্তিপুরে তৃণমূল কর্মী শান্তনু মাহাতো ওরফে গনা খুনে অন্যতম অভিযুক্তের তালিকায় নাম জড়িয়েছে বাগআঁচড়া হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক এবং স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় আপাতত পলাতক আর গ্রেফতার হয়েছেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি কুমারেশ চক্রবর্তী সভাপতি। ফলে স্কুল চালাতে বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে পরিচালন সমিতিকে। গোটা ঘটনায় শিক্ষা দফতরকে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শান্তিপুরের বাগআঁচড়া হাইস্কুল পাঁচ দশক পার করে এসেছে। প্রত্যন্ত এই এলাকার পড়ুয়াদের অন্যতম ভরসা এই কো এড স্কুল। পড়ুয়ার সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে স্কুলের সহকারি শিক্ষক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়কে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক করা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি শান্তিপুরের বড়বাজার এলাকায় শান্তনু মাহাতো ওরফে গনা খুনে যে ১১ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁদের মধ্যে দীপঙ্করবাবু ও কুমারেশবাবুর নাম রয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি কুমারেশবাবুকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পলাতক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে গত রবিবার সন্ধ্যায় শহরে একটি মোমবাতি মিছিলও হয়। এ দিকে বাগআঁচড়া হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ পড়েছেন ঘোর সমস্যায়। স্কুলে ৩৭ জন শিক্ষক ও ৮ জন পার্শ্ব শিক্ষক রয়েছেন। রয়েছেন তিন জন অশিক্ষক কর্মী। তাঁদের বেতনের জন্য পে ফিক্সেশান ফর্মে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সই জরুরি। তা না মিললে বেতন আটকে যাবে। পাশাপাশি রয়েছে মিড ডে মিলের বিষয়। আপাতত স্কুলের ভাঁড়ারে চাল-ডাল যা মজুত ছিল তা দিয়েই চালানো হচ্ছে। কিন্তু তা ফুরিয়ে গেলে নতুন করে চাল, আনাজ বা ডিম কিনতে হলে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক এবং সভাপতির সই দরকার।

স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্থগিত রাখা হয়েছে। স্কুলের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, স্টাফ কাউন্সিল এবং পরিচালন সমিতির সদস্যেরা সম্প্রতি বৈঠক করার পর তাঁদের কী করণীয় তা শিক্ষা দফতরের কাছে জানতে চেয়েছেন। স্কুলের পরিচালন সমিতির অন্যতম সদস্য দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা দফতর যে ভাবে নির্দেশ দেবে সে ভাবেই কাজ হবে।” আর নদিয়ার ভারপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) ব্রজেন মণ্ডলের বক্তব্য, “এখনও আমাকে কেউ জানাননি বিষয়টি।”

Crime Murder School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy