Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

হিমেল হাওয়ায় প্রাণ জুড়োচ্ছে মসজিদে

চাপড়া জামে মসজিদ পরিচালন কমিটির সম্পাদক কাজি ফারুক জানান, গরমে মানুষের কষ্টের কথা ভেবে এক সপ্তাহ আগে মসজিদে মোট চারটি এসি মেশিন বসানো হয়েছে।

মেরামত: হোগলবেড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র

মেরামত: হোগলবেড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায় ও কল্লোল প্রামাণিক
বেলডাঙা ও করিমপুর শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ০২:১৭
Share: Save:

গরমে রক্ষা নেই, দোসর লোডশেডিং!

এ দিকে সেহরির পর থেকে ইফতার পর্যন্ত নিরম্বু উপবাস। রমজান মাসে পাঁচ ওয়াক্ত নমাজে মসজিদে ভিড়ও বেড়েছে। ফলে মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে কোনও মসজিদে বসানো হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, কোথাও লোডশেডিং থেকে রেহাই পেতে চলছে জেনারেটর। ইদেরও আর দেরি নেই। তাই কোনও মসজিদে পড়ছে নতুন রঙের প্রলেপ, কোথাও সেরে ফেলা হচ্ছে টুকিটাকি মেরামতির কাজ।

চাপড়া জামে মসজিদ পরিচালন কমিটির সম্পাদক কাজি ফারুক জানান, গরমে মানুষের কষ্টের কথা ভেবে এক সপ্তাহ আগে মসজিদে মোট চারটি এসি মেশিন বসানো হয়েছে। এলাকার ব্যবসায়ীরা অর্থ সংগ্রহ করে এই ব্যবস্থা করেছেন। থানারপাড়ার দহপাড়া জুম্মা মসজিদ কমিটির সভাপতি সেলিম মণ্ডল জানান, বহু টাকা ব্যয় করে মসজিদ একতলা থেকে দোতলা করা হয়েছে। পাম্প বসিয়ে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রমজান মাসে মসজিদে ভিড় তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়। সেটা মাথায় রেখে মসজিদে আলো, পাখা ও নিজস্ব জেনারেটর ছাড়াও মাইক ও উন্নত সাউন্ড সিস্টেম কেনা হয়েছে।

বেলডাঙা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া মারকাজ মসজিদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে। ফলে এলাকার লোকজন ছাড়াও পথচলতি বহু মানুষ সেখানে নমাজ ও ইফতারে যোগ দেন। মসজিদ কমিটির সম্পাদক আরফাত শেখ জানান, রমজান মাসে রাতে তারাবির নমাজ হয়। সেটা দীর্ঘক্ষণ চলে। এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তা মাথায় রেখে দানের টাকায় পাঁচটা শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র কেনা হয়েছে।

বেলডাঙার হাটপাড়া বড় মসজিদ, মাঝপাড়া, দেবকুণ্ডু, ভাবতা, মির্জাপুরের মসজিদেও এসি মেশিন-সহ জল ও বাড়তি জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। থানারপাড়ার নতিডাঙা মসজিদ কর্তৃপক্ষও এই গরমে মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মণ্ডল জানান, গরমের কারণে মসজিদে আগেই পাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এখানে মাঝেমধ্যেই লোডশেডিং হয়। ফলে সেই কষ্ট থেকে বাঁচতে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে জেনারেটরও কেনা হয়েছে।

তেহট্টের কোমথানা মসজিদেও একটি জেনারেটর দান করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সাহিদ মণ্ডল। হাঁসপুকুরিয়া বড় জুম্মা মসজিদে এলাকার চাষি ছাত্তার মল্লিক দিন কয়েক আগে দশটি পাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ইদের আগে নতুন রঙে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে হোগলবেড়িয়ার তারাপুর জুম্মা মসজিদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

AC machine mosque installation মসজিদ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE