গড়ে তাঁর ফাটল ধরেছে কিছু দিন আগে। জেলার পুরসভাগুলি থেকে রাজ্যপাট গিয়েছে। অবিরাম খসে পড়ছে পঞ্চায়েত। হারিয়েছে সাধের জেলা পরিষদও।
এমনকী, পুরনো সঙ্গীসাথি, বিধায়কদের অনেকেই পা বাড়িয়ে রয়েছেন শাসক দলের দিকে।
জেলায় তাই নতুন করে সময় দিতে হচ্ছে তাঁকে। কখনও ভৈরব নদীর মজে যাওয়া নিয়ে মিছিল করছেন, কখনও বা পদ্মা ভাঙন রুখতে কেন্দ্রের গা-ছাড়া হাবভাবকে হাতিয়ার করে রাস্তায় নেমে পড়ছেন তিনি। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ভাণ্ডারদহ বিলের সংস্কার। তিনি অধীর চৌধুরী। ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি টানা পাঁচ দিন ধরে ভগবানগোলা থেকে নওদা, প্রায় একশো কিলোমিটার রাস্তা পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন তিনি।
জেলায় তাঁর নতুন করে জমি-খোঁজার এই চেষ্টাতেই নাকি কাঁপন ধরেছে তৃণমূলের। এমনই দাবি কংগ্রেস নেতাদের। আর, তাই কংগ্রেসকে (পড়ুন অধীর) পাল্টা চাপে রাখতে ওই সব অধীর-ইস্যুতে কংগ্রেসের সেই ডাক শুনে পাল্টা পথে নেমেছে তৃণমূল।
সংস্কার এখনও শুরুই হয়নি। তবে, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ আগাম জানিয়ে রাখছেন, ‘‘মাস কয়েকের মধ্যে ভাণ্ডারদহ বিল সংস্কারে হাত দেব আমরা।’’এত দিন হাত দেননি কেন? কেনই বা কংগ্রেস তা নিয়ে আন্দোলন শুরু করতেই টনক নড়ল? সে সবরে উত্তর অবশ্য মৎস্যমন্ত্রীর কাছে মেলেনি।
সোমবার রানিতলার বিল লাগোয়া মাধবীগঞ্জের মাঠে সভা করল তৃণমূল। সেই সভায় বিল সংস্কার নিয়ে যত শব্দ খরচ করছেন বক্তারা, তার থেকে ঢের বেশি শব্দ খরচ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও তাঁর ডাক দেওয়া ‘পদযাত্রা’ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যে। ময়দানের সভায় মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘এখানকার এক নেতা খুব হেঁটেছেন। কিন্তু কিছুই করতে পারেননি। তিনি নাকি আবার হাঁটবেন। তাঁকে হাঁটতে হবে না। বিল সংস্কার করার জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিন-চার মাসের মধ্যে কাজটা আমরাই করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy