এ ভাবে জল তুলে চালানো হচ্ছে ইউনিট।
গঙ্গায় জলসঙ্কটে ফের বন্ধ করে দেওয়া হল এনটিপিসি-র ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট।
কেন্দ্র সূত্রের খবর, পাম্প বসিয়ে ফিডার ক্যানাল থেকে ইনটেক ক্যানালে যথাসম্ভব জল তুলে ২০০ মেগাওয়াটের প্রথম এবং ৫০০ মেগাওয়াটের ষষ্ঠ ইউনিট আপাতত চালু রাখা হয়েছে। ২০০ মেগাওয়াটের ২ নম্বর ইউনিটটি আগে থেকেই কারিগরি কাজের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
চুক্তি মতো ২১ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল দিতে শুরু করায় শুক্রবার রাত থেকেই এই জলসঙ্কট শুরু হয়। আর তার পরেই পরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় ১, ৩, ও ৫ নম্বর ইউনিট।
ফিডার ক্যানালে বার্জ লাগিয়ে পাম্পে করে নিজের ইনটেক ক্যানালে জল তুলে চালানো হচ্ছিল দু’টি ৫০০ মেগাওয়াটের ইউনিট। কিন্তু পাম্পের তোলা সেই জলেও জলাভাব না মেটায় একটি ৫০০ মেগাওয়াটের ইউনিট বন্ধ করে কম উৎপাদনক্ষম ২০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি চালানো হয়।
বৃষ্টির অভাবে গঙ্গায় জলপ্রবাহে ঘাটতি ও বাংলাদেশকে চুক্তিমাফিক জল দিতে গিয়েই এই জলসঙ্কট। গত দেড় মাসের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় বার জলের অভাবে অচলাবস্থা সৃস্টি হল ফরাক্কায়। গত ১১ মার্চ থেকে বাংলাদেশকে ৩৫০০০ কিউসেক জল দেওয়ার ফলে ফিডার ক্যানালে টান পড়ে জলে। ফলে ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছ’টি ইউনিটই বন্ধ করে দিতে হয়। পুরোপুরি বন্ধ হয় উৎপাদন।
পরে একই ভাবে ৫টি ইউনিট বন্ধ হয় ১ এপ্রিল থেকে। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৫ মাস ধরে এই চুক্তি মতো ১০ দিনের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয় দুই দেশের মধ্যে এই জলবণ্টনের পরিমাণ। ফলে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই সঙ্কট চলবে।
ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জনসংযোগ আধিকারিক শৈবাল ঘোষ জানান, ফরাক্কা প্রকল্প থেকে পশ্চিমবঙ্গ ৭৮৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়। ফরাক্কায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটলেও এনটিপিসি অন্য প্ল্যান্ট থেকে চাহিদামাফিক বিদ্যুত সরবরাহ করবে বলে রাজ্যকে জানিয়ে
দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy