Advertisement
E-Paper

মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কৃষি দফতর

মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়েই দিতে হবে অনুখাদ্য। না হলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার দেন চাষিরা। এতে ফসল ও মাটির ক্ষতি হয়। কেউ বা দেন প্রয়োজনের তুলনায় কম। এই সমস্যা মে়টাতে জমির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নামল কৃষি দফতর।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ১৪:৩২

মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়েই দিতে হবে অনুখাদ্য। না হলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার দেন চাষিরা। এতে ফসল ও মাটির ক্ষতি হয়। কেউ বা দেন প্রয়োজনের তুলনায় কম। এই সমস্যা মে়টাতে জমির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নামল কৃষি দফতর।

মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গত বছর থেকে ‘সয়েল হেলথ কার্ড’ দেওয়া শুরু করেছে কৃষি দফতর। এ জন্য এ বছরও রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি নদিয়া-মুর্শিদাবাদেও মাটির নমুনা সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ‘সয়েল হেলথ কার্ড’ দেওয়ার জন্য পনেরো দিন ধরে ‘মাটির নমুনা সংগ্রহ পক্ষ’ পালন করছে কৃষি দফতর। কৃষি দফতর জেলা থেকে শুরু করে ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের বাসিন্দাদের সচেতন করছে।

তাছাড়াও কৃষি দফতর মাটির নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। সেচ সেবিত এলাকায় আড়াই হেক্টর জমি পিছু একটি করে নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। তাছাড়াও অসেচ সেবিত এলাকার জন্য ১০ হেক্টর পিছু একটি করে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর পরে মাটি পরীক্ষা করে ওই এলাকার চাষিদের ‘সয়েল হেলথ কার্ড’ দেওয়া হবে। সেই কার্ডে জমির স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। উল্লেখ থাকবে, কোন ধরনের ফসলে কী পরিমানে সার দিতে হবে।

নদিয়ার উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) বুদ্ধদেব ধর বলছেন, “একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে মাটির নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। ব্লকে ব্লকে ট্যাবলো সহকারে এ নিয়ে প্রচারও চলছে।”

জেলা কৃষি ফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। গত বছর থেকে ‘সয়েল হেলথ কার্ডের’ জন্য মাটির নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।

জেলায় প্রায় ২ লক্ষ ৭১ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমি রয়েছে। তার মধ্যে গত বছর প্রায় ৫৬ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। জমির পরিমাণ ছিল প্রায় এক লক্ষ হেক্টর। এবারও ৫৬ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। জুন মাসের মধ্যে ৬০ শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। বাকি কাজ শেষ হবে রবি চাষের আগে।

মুর্শিদাবাদেও প্রায় ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমি আছে। গত বছর প্রায় ১ লক্ষ ৪ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। জমির পরিমাণ ছিল প্রায় দু’লক্ষ হেক্টর। এ বছর ৬৫ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। গত বছর ৪০ হাজার হেলথ কার্ড বিলি করা হয়।

জেলা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তিন বছরের মধ্যে প্রত্যেক চাষিই হেলথ কার্ড পাবেন। মুর্শিদাবাদের উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) তাপস কুণ্ডু জানান, কৃষি দফতর জোর কদমে নমুনা সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছে।

Agriculture Department Soil Examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy