Advertisement
E-Paper

পুজোর বাড়িতে ঢুকে মারধর, অভিযুক্ত মদ্যপেরা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার শান্তিপুরের নতুন ফুলিয়া এলাকার এক বাসিন্দা  নিমাই কর্মকারের বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে কালী পুজো হয়ে আসছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মদ্যপ অবস্থায় কালীপুজোর খিচুড়ি প্রাসাদ চাওয়া নিয়ে বিবাদ। তারই জেরে পরিবারের পুরুষদের পাশাপাশি বাড়ির মহিলাদেরও লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তাতে নাম জড়াল শান্তিপুর থানার এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারেরও। পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম কৃষ্ণ পাল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার শান্তিপুরের নতুন ফুলিয়া এলাকার এক বাসিন্দা নিমাই কর্মকারের বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে কালী পুজো হয়ে আসছে। প্রতি বছরের মতো এ বারও পুজো উপলক্ষে তার বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এসেছিলেন। রাতে পুজো হয়ে যাওয়ার পরে সকলেই নিজেদের মধ্যে আনন্দ করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় কৃষ্ণ পাল নামে এক যুবক মদ্যপ অবস্থায় তাদের উঠোনে ঢুকে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে প্রসাদ খেতে চায়। তার ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানান সকলে। তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। এমনকী ধাক্কাধাক্কিও হয় বলে অভিযোগ। এর কিছু সময় পরে কৃষ্ণ তার কয়েক জন সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে আবারও হাজির হয় তাঁদের বাড়িতে। তারাও মদ্যপ ছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে পার্থ হালদার নামে সিভিক ভল্যান্টিয়ারও ছিল বলে অভিযোগ করেছেন নিমাইবাবু। তারা লাঠি দিয়ে পুরুষদের পেটাতে থাকে। থামাতে গেলে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় বাড়ির মহিলাদেরকেও। গুরুতর আহত হন নিমাইবাবুর বৃদ্ধা মা ও বৌদি। তাদেরকে রাতেই রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় ও হাতের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। নিমাইবাবু বলেন, “প্রথমে কৃষ্ণ মদ খেয়ে এসে অশালীন কথা বলছিল আর বাড়ির মেয়েদের নানান ইঙ্গিত করছিল। আমরা তার প্রতিবাদ করায় ও দলবল নিয়ে আমাদের উপরে চড়াও হয়। লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে।” তিনি বলেন, “মা ও বৌদি তাদের ঠেকাতে এলে তাদের মাথায় আঘাত করা হয়।” এর পরে পরিস্থিতি বিপজ্জনক আঁচ করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পড়শিরা তাদের উদ্ধার করে ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকদের সঙ্গে আগেই গণ্ডগোল ছিল। এদিনের ঘটনার পিছনে সেটাও একটা কারণ। কালী পুজোর রাতে সুযোগ পেয়ে তারা হানা দেয় ওই বাড়িতে। অভিযুক্ত সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে থানায় ডেকে জেরা করা হচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার শীষ রাম ঝাঝারিয়া বলেন, “প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরাও যদি যুক্ত থাকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা সে যেই হোক না কেন।”

Alcoholic Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy