মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সৌহার্দের আড়ালে শাসক দলের বিজয়া সম্মিলনী থেকে বহরমপুরের পুরপ্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে ১.৮০ লক্ষ ভোটে হারাবার চ্যালেঞ্জ দিলেন, সাংসদ খলিলুর রহমান দিলেন জেলায় তিন-এ তিনটি আসন দখলের ডাক। আবার ফরাক্কায় বিজয়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিধায়ক মনিরুল ইসলাম এলাকায় দলের দুই জেলা পরিষদ সদস্যকে পঙ্গু বলে কটাক্ষ করে কার্যত সতর্ক করে দিলেন, “দল করতে হয় করুন, না হলে ছেড়ে চলে যান। দলে থাকবেন আবার দলের নেতৃত্বকে মানবেন না, তা চলবে না।” শাসকের বিজয়া সম্মিলনী সর্বত্রই হয়ে উঠল রাজনীতির মঞ্চ।
তৃণমূলের অনেকের বিরুদ্ধেই ভুরি ভুরি চুরি, দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্য জুড়ে। এ জেলাতেও সে অভিযোগ কম নয়, কিন্তু জেলা জুড়ে এ সব অভিযোগকে আমল না দিয়েই সর্বত্রই শাসক দলের সেই সব বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিলেন দুই থেকে তিন হাজার করে কর্মীরা। প্রত্যেকের জন্য রইল কোথাও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন, কোথাও বা চা-জলখাবারের ব্যবস্থা। প্রতিটিতে খরচ হয়েছে খুব কম করে হলেও ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। সে টাকা কোথা থেকে তৃণমূল পেল, সে প্রশ্ন উঠছে।
জেলার প্রাক্তন সভাধিপতি ও জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি শিলাদিত্য হালদার বলছেন, ‘‘শাসক দলের অঢেল পয়সা। কেউ আবাস যোজনা, কেউ বালি, কয়লা, গরু পাচারের পয়সায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এ সব চাপা দিয়ে নজর ঘোরাতে বিজয়ার রাজনীতি। বাংলার বিজয়া উৎসবে সৌহার্দের কথা নেই, শুভেচ্ছার বার্তা নেই। শুধু বিরোধী দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হুঙ্কার। এতে অন্তত মুর্শিদাবাদ জেলায় কোনও ফল হবে না।"
জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘বিজয়াতে কর্মীরা নেতাদের কাছ থেকে আগামী দিনের কাজের বার্তা শুনতে চান। তাই উঠে এসেছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কথা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের কথা বলছি।’’ সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের বার্তা, “শুধু বিজয়া নয়, সুতিতে ১০৩টি পুজো মণ্ডপ রয়েছে। পুজোর ক’দিন সর্বত্র গিয়েছি। ১৩০০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা যেমন বলেছি, তেমনই বলেছি ১০০ দিনের কাজে বঞ্চনার কথা।’’
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় বলেন, "আমাদেরও কর্মসূচি চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy