প্রতীকী ছবি।
জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠল বিজেপির কল্যাণী শহর মণ্ডলের সভাপতি সুকদেব মাইতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত মাসের ২৩ তারিখ লোকসভা ভোটের ফল বার হওয়ার পর পেশায় স্কুল শিক্ষক সুকদেব দলবল নিয়ে এ-১১/৪ এর প্লটটির দখল নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জমিতে বিজেপির ঝান্ডা লাগিয়ে দলের অস্থায়ী কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। অথচ সেটি সুকদেবের জায়গা নয়। সুকদেব ওই জায়গা এস্টে়ট ম্যানেজারের অফিসের মাধ্যমেও পাননি। বেশ কয়েক বছর আগে পূর্বায়ন কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি ওই জায়গাটি কেনে বলে ওই সোসাইটির লোকজনের দাবি।
সোসাইটির তরফে দাবি করা হচ্ছে, তাঁদেরই একজন যোগসাজশ করে জমিটির কাগজপত্রে কিছু গোলমাল করে। সে নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। এই মুহূর্তে জমিটির মালিকানা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। পূর্বায়নের সদস্যদের দাবি, লড়াইয়ে তাঁদের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। জমিটি আদতে তাঁদের। না হলে তাঁরা তো জেলা সমবায় দফতরের মাধ্যমে কো-অপারেটিভ গড়ার অনুমোদনই পেতেন না। সদস্যেরা বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করে ফেলেছেন ওই জমি কেনার জন্য। কিন্তু রাতারাতি সুকদেব ওই জমির দখল নিয়েছেন বলে তাঁদের অভিযোগ।
কো-অপারেটিভের তরফে জানানো হয়েছে, ওই জমিতে নির্মিত কার্যালয়ে এখন অনেক লোকের আনাগোনা। ওই কো-অপারেটিভের তরফে দিন কয়েক আগে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। তারপরেও সেখানে বিজেপি কার্যালয় চলছে। সুকদেব বলেন, ‘‘আসলে কল্যাণীতে যত দলীয় কার্যালয় রয়েছে, সবই তো বিতর্কিত বা সরকারি জমিতে রয়েছে। সেই কারণে আমিও ওখানে কার্যালয় করেছি। তবে ওখানে কোনও স্থায়ী নির্মাণ হয়নি।’’
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় দলেরই অনেকে ক্ষুব্ধ। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘দলকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। কিন্তু সুকদেবের এই কাজ বিতর্ক তৈরি করছে।’’ পুলিশ জানায়, সুকদেবকে স্থায়ী নির্মাণ করতে বারণ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে সুকদেবকে কার্যালয় সরিয়ে নিতে বলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy