পরিজনদের সঙ্গে নকুল। ছবি: মফিদুল ইসলাম
তিন বছর আগে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পায়নি বাড়ির লোক। পরিবারের দাবি, মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন তিনি। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে তিন বছর পর ঘরে ফিরলেন চোঁয়ার বাসিন্দা নকুল মাল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নকুল তিন বছর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে কেরলে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর কাছে থাকা সমস্ত অর্থ হাতিয়ে পালায় ওই ব্যক্তি। এ দিকে, টাকাপয়সা খুইয়ে অথৈ জলে পড়েন নিরক্ষর নকুল। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। ওই এলাকা থেকেই কেরলে কাজে যাওয়া এক ব্যক্তির মাধ্যমে নকুলের পরিবার জানতে পারে, তিনি ভবঘুরের মতো কেরলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। ভাষাগত সমস্যায় কাউকে কিছু বোঝাতেও পারেননি। বাড়ির লোকের দাবি, ওই সময় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
এক সময় নকুলকে খোঁজাও বন্ধ করে দেন বাড়ির লোক। মাস দুয়েক আগে কেরলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা নকুলকে অবিন্যস্ত পোশাকে রাস্তায় ঘুরতে দেখে তাঁদের কেন্দ্রে নিয়ে যান। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর তারাই উদ্যোগী হয়ে নকুলের পরিচয় জানতে পারেন। যোগাযোগ করা হয় হরিহরপাড়া থানায়। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে নকুলকে দেখে পরিবারের লো চিনতে পারেন। শুক্রবার রাতে কেরলের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দুই সদস্য চোঁয়ার বাড়িতে এসে নকুলকে রেখে যান। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী শ্যারন জিভা বলেন, ‘‘ওঁকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে ভাল লাগছে।’’ নকুলের ভাইপো অধীর মাল বলেন, ‘‘আগেও কাকা একবার মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তিন বছর পর কাকা ঘরে ফেরায় আমরা খুব খুশি।’’ নকুল অবশ্য ভাবলেশহীন ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy