নারকেলের পর এবার তেজপাতা।
শুকনো নারকেল দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে রানাঘাট শহরে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল শেখর। এ বার সেই তেজপাতা দিয়ে কালী প্রতিমা তৈরি করেছে। রানাঘাট থানার কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েডের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দি নিউ স্পোটিং ক্লাবের কালীপুজোর জন্য এই প্রতিমা তৈরি হয়েছে। সেখানে এই প্রতিমা প্রদর্শিত হবে। প্রায় আড়াই ফুট উচ্চতাসম্পন্ন এই প্রতিমা তৈরি করতে এক মাসের বেশি সময় লেগেছে।
শেখর জানিয়েছেন, দুর্গা পুজোর সময় থেকেই প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘দুর্গা পুজোর সময় থেকে টানা কাজ করেছি। সবাই যখন দুর্গা পুজোর আনন্দে মেতে ছিল, সেই সময় আমি এই প্রতিমার কাজ করতে ব্যস্ত ছিলাম। কারণ, সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। সেটা সম্ভবও হয়েছে।’’ তাঁর আশা, এই প্রতিমাও সারা ফেলবে।
বছর পঁয়ত্রিশের শেখরের বাড়ি রানাঘাট থানা এলাকায়। খুব ছোট থেকেই তিনি অঙ্কনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। রানাঘাটের বিশিষ্ট অঙ্কনশিক্ষক মিঠু শূরের হাত ধরে তাঁর রং-তুলির ব্যবহার শেখা। আঁকার পাশাপাশি তিনি শুকনো নারকেল, তেজপাতা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে থাকেন। পেঁচা, বিভিন্ন মডেল এবং প্লাস্টার অফ প্যারিসের বেশ কিছু কাজ রয়েছে।
৯-১১ জুলাই শিলিগুড়ির রামকিঙ্কর আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতা, শান্তিপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন তিনি।
রানাঘাট শহর থেকে দু’কিলোমিটার দূরে কুপার্স ক্যাম্প নোটিফারেডের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের বাড়ি। তিনি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ভালবেসে ছোট থেকে আঁকা শুরু করেছিলেন। শেষে একেই পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন। এখন তিনি একজন অঙ্কন-শিক্ষক। অঙ্কনের পাশাপাশি ভাস্কর্য নিয়েও কাজ চলছেন।
এ দিন বাড়িতে বসে তিনি বলেন, “সব সময়ে নতুন কিছু করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে। সে ভাবনা থেকেই এসব করি। এর একটা আলাদা আনন্দ রয়েছে। বিভিন্ন জিনিসকে আকৃতি দিতে পারলে ভাল লাগে আমার।”