E-Paper

গুলি চালানোর আগে বসানো হয় মদের আসর

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, আশিসের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল প্রসেনজিতের। সেটা জানার পর বগুলা এলাকায় সমাজবিরোধী বলে পরিচিত আশিস স্ত্রীকে খুন করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:২৪
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

খুন করতে আসার আগে রানাঘাটের হবিবপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বারে বসে মদ খেয়েছিল ধৃতরা। পর্যাপ্ত মদ খাওয়ার পর সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে হাজির হয়েছিল হাঁসখালির মিলননগর এলাকায়। সেখানে সঙ্গীদের নিয়ে আশিস মণ্ডলের অপেক্ষায় ওত পেতেছিল প্রধান অভিযুক্ত রানাঘাট আদালতের আইনজীবী প্রসেনজিৎ দেবশর্মা।

তদন্তে নেমে এমন তথ্যই জানতে পেরেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। যদিও আশিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ঘটনায় ধৃত আরও এক আইনজীবী ও আইনের ছাত্রের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, আশিসের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল প্রসেনজিতের। সেটা জানার পর বগুলা এলাকায় সমাজবিরোধী বলে পরিচিত আশিস স্ত্রীকে খুন করে। তার জন্য তার জেল হয়। সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে প্রসেনজিৎকে খুনের হুমকি দেয় সে। আশিস যাতে তাকে খুন করতে না পারে তার জন্য আশিসকেই খুনের পরিকল্পনা করেছিল প্রসেনজিৎ। সেই মত সোমবার হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানতে পেরেছে আশিসকে খুন করার জন্য প্রসেনজিৎ বেশ কিছু দিন ধরে ছক কষছিল। সে আশিসের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিতে শুরু করে। পাশাপাশি সে সঙ্গে নেয় রানাঘাট আদালতের ল’ক্লার্ক আমন শাওকে। আমের বিরুদ্ধেও একাধিক অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তাকে একবার গ্রেফতারও করে পুলিশ।

শুধু তাই নয়, আমনই প্রসেনজিতের ল’ক্লার্ক হিসাবে কাজ করে থাকে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ফলে দু’জনের মধ্যে আগে থেকেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রসেনজিতের খুনের ছকের সঙ্গে তাই সে সহজেই নিজেকে জড়ায়। পাশাপাশি মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিনের পরিচিত শান্তিপুরেরই বাসিন্দা পেশাদার খুনি দীপক সিংহ ওরফে কেলোকে বিষয়টা জানিয়ে আশিসকে খুনের করা বলে প্রসেনজিৎ। তবে অর্থের বিনিময়ে নাকি দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের কারণে দীপক খুন করতে রাজি হয়েছিল কিনা তা এখনও পুলিশের পরিষ্কার নয়। ধৃত আর এক আইনজীবী সুদীপ বর্মন ও আইনের ছাত্র সৌম্যদীপ কুণ্ডু এই ঘটনার সঙ্গে কী ভাবে জড়িয়ে পড়ল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দু’জনই মূল অভিযুক্ত প্রসেনজিতের ‘জুনিয়র’ হিসাবে কাজ করত।

জেলার পুলিশ কর্তাদের দাবি, হেফাজতে থাকা অবস্থায় ধৃতদের জেরা করে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Hanskhali

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy