অতি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছিল জমির ফসল। ক্ষতিপূরণের চেক চাইতে সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসে গিয়েছিলেন নাকাশিপাড়ার শালিগ্রামের আফসার বিশ্বাস। অভিযোগ, চেক তো দেওয়া হয়নি উল্টে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাঁকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত নাকাশিপাড়া ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা শিবাজি বিশ্বাস।
তারপরেই তিনি সটান মামলা ঠোকেন কৃষ্ণনগর আদালতে। আদালতের নির্দশে শুক্রবার নাকাশিপাড়া থানা আফসারের এফআইআর নিল। শিবাজিবাবু অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে আদালতের নির্দেশ মতো সহ কৃষি অধিকর্তা এবং তাঁর দফতরের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ‘কেস’ শুরু হয়েছে। কৃষি দফতরের তিনজনের আধিকারীকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আফসার বিশ্বাসের অভিযোগ, ২০১৫ সালে অতিবৃষ্টির জেরে অনেকের মতো তাঁরও ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। সেই মত তাঁর নামে ১৩হাজার ৫০০টাকার চেকও আসে। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসে ক্ষতিপূরণের চেক নিতে যান তিনি। তাঁকে বলা হয় আগেই তিনি চেক নিয়েছেন। টিপ সই দিয়ে চেক নেওয়ার কাগজও তাঁকে দেখানো হয়। প্রতিবাদ করে তিনি প্রশ্ন করেন, তিনি সই করতে জানেন। টিপসই করে টাকা তুলবেন কেন?
আফসারের দাবি, এর পরে ওই অফিস থেকে তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে কৃষ্ণনগরে সিজেএম আদালতে মামলা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার টিপ সই বলে যে কাগজ দেখানো হল, সেই জমির দাগ এবং খতিয়ান নম্বর এক। আমার জমির টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।’’
শিবাজিবাবু কিছু বলতে রাজি না হলেও জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) বুদ্ধদেব ধর বলেন, “মাস খানেক আগে ডাকযোগে এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছিলাম। তদন্তে দেখা গিয়েছে, ওই গ্রামের আফসার শেখের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা এসেছিল। আফসার শেখ সেই টাকা তুলেছেন। কিন্তু আফসার বিশ্বাস নামে যে কৃষক অভিযোগ করেছেন তাঁর নামে চেক আসেনি।’’ আফসারের দাবি, তদন্তে তাঁর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হবে। পুলিশের তদন্ত সঠিক মনে না হলে, তিনি ফের আদালতে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy