Advertisement
০২ মে ২০২৪

ডি লিট নিয়ে ‘নিষ্ক্রিয়’ কর্তারা, হুমকি মামলার

মাস পাঁচেক আগে তপনের বিরুদ্ধে নকল করার অভিযোগ আনেন  বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক সুজয়কুমার মণ্ডল। উপাচার্য, রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান তিনি।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:২২
Share: Save:

অন্যের লেখা চুরি করে ডি লিট পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা-বাণিজ্য অনুষদের ডিন তপনকুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। কিন্তু এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ বার মামলা করার কথা ভাবছেন অভিযোগকারী।

মাস পাঁচেক আগে তপনের বিরুদ্ধে নকল করার অভিযোগ আনেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক সুজয়কুমার মণ্ডল। উপাচার্য, রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান তিনি।

সুজয়ের অভিযোগ ছিল, ডি লিট পাওয়ার জন্য তপন বিভিন্ন বইয়ের বহু পাতা হুবহু নকল করেছিলেন। মাসখানেক আগে এ নিয়ে রাষ্ট্রপতির সচিবালয় থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কী তদন্ত হয়েছে, জানাতে হবে। রাজ্যপালের সচিবালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারিও রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের যুগ্ম সচিবকেও এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে সুজয়কেও ওই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।

নদিয়ার লোকসংস্কৃতি উপরে গবেষণাপত্র লিখে বছর ছয়েক আগে ডি লিট পান তপন। কিন্তু অভিযোগ, ‘নদিয়ার ইতিবৃত্ত’, ‘কল্যাণী: এ কাল ও সেকাল’, ‘শরীরচর্চার আলোকে বাংলার লোকক্রীড়া’, ‘বাংলার লোকক্রীড়া’ প্রভৃতি বইয়ের বেশ কিছু অংশ তিনি হুবহু নকল করেছিলেন। সুজয়ের অভিযোগ, ‘‘ক্ষমতাশালী হওয়ায় তপনবাবু নানা অন্যায় করেও বারবার পার পেয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করছেন না।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য কোনও তদন্ত কমিটি গড়া হয়নি। তপন বলেন, ‘‘ডি লিট উপাধি নিয়ে আমি চাকরি পাইনি, বেতনও বাড়েনি। কাজেই কোনও তদন্তে যদি আমার ডি লিট পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, বিরাট কিছু ফারাক হবে না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই কয়েক জন আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ সব করছে।’’ বারবার চেষ্টা করেও উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সুজয় অবশ্য হঁশিয়ারি দেন, ‘‘যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওঁকে আড়াল করার চেষ্টা করেন, আমি হাইকোর্টে যাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kalyani university D Litt Dean Complaint
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE