ফের নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগর ও তৎসংলগ্ন শহরতলি জুড়ে সক্রিয় ‘বানজারা গ্যাং’। চলতি মাসে কয়েকটি চুরির ঘটনায় বানজারা গ্যাংয়ের যোগসূত্র স্পষ্ট হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন এই গ্যাংয়ের সদস্যরা। ভীমপুর থানা এলাকার জগাছায় ঘটনাটি ঘটে। ভিক্ষা করার অছিলায় ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে পড়েন এই গ্যাংয়ের কয়েক জন সদস্য। বাড়ির একমাত্র মহিলা সদস্য সেই মুহূর্তে বাইরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগেই ঘরের ভিতরের আলমারির ড্রয়ার থেকে নগদ টাকা ও ড্রয়ারের মধ্যে ব্যাগে রাখা গয়না নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে পিছু ধাওয়া করে কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে পাকড়াও করা হয় তাঁদের। তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় খোয়া যাওয়া নগদ টাকা ও সোনার গয়না। এ ছাড়াও কৃষ্ণনগর শহরের একাধিক চুরির ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রয়েছে এই বানজারা গ্যাং। পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি, এদের ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
কৃষ্ণনগরে চলতি মাসে বেশ কয়েকটি ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে আলমারি ভেঙে জামাকাপড় ও বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই চুরির ধরন ও চুরি যাওয়া সামগ্রীর প্রকৃতি দেখে এর নেপথ্যে বানজারা গ্যাংয়ের সদস্যদের হাত রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। পুজোর মরসুমে ফাঁকা বাড়ি ও ভিড় বাজারগুলিকে নিশানা করে এই বানজারা গ্যাং। ভিড়ের মধ্যে মিশে নতুন পোশাক ভর্তি ব্যাগ নিমিষের মধ্যেই উধাও করে দেন তাঁরা।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, ‘‘এই প্রবণতা নতুন নয়। এই ধরনের গ্যাংয়ের উপর বরাবরই পুলিশের নজরদারি থাকে। পুজোর ভিড়ে যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে দিকেও পুলিশ যথেষ্ট নজর রেখেছে। বাড়ি ফাঁকা করে বাজার করতে যাওয়া কিংবা বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতা আটকানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে।’’