E-Paper

‘নকল সোনা’ বন্ধক রেখে ব্যাঙ্কে প্রতারণা

দু’টি মামলায় বহরমপুরের এক সোনা পরীক্ষকের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আরও ছ’জনের বিরুদ্ধে নকল সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪৮
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP

নকল সোনা বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার অভিযোগে দু’টি মামলা হল বহরমপুর থানায়। মঙ্গলবার বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের বহরমপুর শাখা এবং বাজারপাড়া শাখার ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’টি মামলা হয়েছে। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, দু’টি ঘটনায় ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে।

ওই দু’টি মামলায় বহরমপুরের এক সোনা পরীক্ষকের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আরও ছ’জনের বিরুদ্ধে নকল সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। নকল সোনা রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসতে হইচই শুরু হয়েছে। বুধবার বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে তদন্ত শুরু করেছি। এই মামলার তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালে। ওই বছর নভেম্বরে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের বহরমপুরের বাজারপাড়া শাখায় তিন জন সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেয়। আর সেই সোনা আসল না নকল তা পরীক্ষা করেছিলেন বহরমপুরের এক সোনা পরীক্ষক। সম্প্রতি ব্যাঙ্ক পরিদর্শনের সময় সেই সোনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তা নকল। এই ঘটনায় ১৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৬০০ টাকা জালিয়াতি করা হয়েছে বলে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সোনা পরীক্ষক সহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে।

অন্য দিকে, বহরমপুরের বাজারপাড়া শাখার মতো বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের বহরমপুর শাখাতেও একই ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। বহরমপুর শাখাতে ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের জুলাই মাসে। বহরমপুর শাখার বন্ধকি সোনাও পরীক্ষা করেছিলেন সেই একই সোনা পরীক্ষক। ওই ব্যাঙ্কের বহরমপুর শাখার ম্যানেজার লিখিত ভাবে দাবি করেছেন, এই ঘটনায় ১৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা অভিযুক্তরা জালিয়াতি করেছে। দু’টি অভিযোগেরই মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দু’বছর আগের বন্ধক রাখা সোনা এখন ব্যা‌ঙ্কে পরিদর্শনের সময় পরীক্ষা করতে গিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন, সেগুলি নকল। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Gold Loan Berhampore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy