Advertisement
E-Paper

বিড়ি শ্রমিক হাসপাতাল দেখতে প্রতিনিধি দল

ধুলিয়ানে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ হাসপাতালের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন কেন্দ্রীয় শ্রম কল্যাণ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল বি সি মল্লিকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ৩ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন বিভিন্ন বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে। পরে হাসপাতাল ঘুরে দেখেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৫ ০১:২৮

ধুলিয়ানে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ হাসপাতালের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন কেন্দ্রীয় শ্রম কল্যাণ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল বি সি মল্লিকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ৩ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন বিভিন্ন বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে। পরে হাসপাতাল ঘুরে দেখেন তাঁরা।

হাসপাতালে এক্সরে, ইউএসজি, প্যাথলজি, যাবতীয় অপারেশন-সহ সব পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে। চিকিৎসক-কর্মীও নেই। বি সি মল্লিক জানান, পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় শ্রমিক কল্যাণ হাসপাতালের এই দুরবস্থা দুঃখের। বছরে বিড়ি শিল্প থেকে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে সারা দেশে আদায় হয় ১৬০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা আদায় হয় জঙ্গিপুর থেকে। কিন্তু শ্রমিক কল্যাণের বিভিন্ন প্রকল্পে খরচ করা হয় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। সিটুর জেলা সভাপতি আবুল হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বৃত্তি ও আবাসন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। শ্রমিকদের পরিবারের ছেলে মেয়েদের কারিগরি শিক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই।’’

এসইউসির শ্রমিক সংগঠনের জেলা সম্পাদক আব্দুস সইদ বলেন, ‘‘নিমতিতাতে একটি ডিস্পেনসারি থাকলেও বর্তমানে তা অচল। শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা খতিয়ে দেখতে একজন ডেপুটি ওয়েল ফেয়ার অফিসার থাকার কথা। বহু দিন ধরে তাও নেই।’’ শ্রম মন্ত্রকের অধিকর্তা বি সি মল্লিকের নির্দেশে এ দিনই তারাপুর কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ডেপুটি ওয়েল ফেয়ার অফিসার পদে একজনকে নিয়োগ করা হয়। বি সি মল্লিক বলেন, ‘‘পূর্বাঞ্চলের মডেল হাসপাতাল হিসেবে তারাপুর হাসপাতালকে গড়ে তোলা হবে। বিড়ি শ্রমিকদের আবাসন ও বৃত্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও গড়া হবে। শ্রমিক পরিবারের ছেলে মেয়েদের হাতে কলমে কাজ শেখাতে বৃত্তিমূলক কারিগরি শিক্ষার কোর্স চালুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

তিনি জানান, সর্বত্রই চিকিৎসক সংকট রয়েছে। মাসিক ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা চুক্তির ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগের চেষ্টা চলছে। এ দিনই দুপুরে ওই প্রতিনিধি দল ফরাক্কা হয়ে কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন।

নিখোঁজ মৎস্যজীবী। মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন এক মৎস্যজীবী। বৃহস্পতিবার দুপুরে হলদিয়ার দুর্গাচকের পাতিখালির ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম বিপিন কামিল্যা। বছর বাইশের ওই যুবকের বাড়ি হাওড়ার শ্যামপুরের কমলপুরে। এ দিন দুপুরে হুগলি নদীতে জাল ফেলে ভুটভুটির এক কোণে বিশ্রাম করছিলেন বিপিন। সে সময় কোনও ভাবে মাঝনদীতে পড়ে যান তিনি। সহযোগীরা তাঁর খোঁজে নদীতে নেমেও সন্ধান পাননি।

Beedi workers Hospital dhulian murshidabad raghunathganj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy