Advertisement
E-Paper

রেললাইন থেকে উদ্ধার মুণ্ডহীন দেহ

গাংনাপুর স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন ছেলেরা। রাতের শেষ ট্রেনে ফেরার কথা ছিল মায়ের। ফোনেও তেমনটাই জানিয়েছিলেন মা মান্দারি দাস (৩৮)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৭ ০১:৩১

গাংনাপুর স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন ছেলেরা। রাতের শেষ ট্রেনে ফেরার কথা ছিল মায়ের। ফোনেও তেমনটাই জানিয়েছিলেন মা মান্দারি দাস (৩৮)।

কিন্তু শেষ লোকাল চলে গেলেও সেই ট্রেন থেকে নামেননি মান্দারি। তড়িঘড়ি ফোন করেন ছেলেরা। বিপদ যে কিছু একটা ঘটেছে, বুঝতে দেরি হয়নি। কিন্তু ফোন তোলে অজ্ঞাতপরিচয় কোনও ব্যক্তি। ও-পারের অচেনা কণ্ঠস্বর জানায়, মায়ের বিপদ। তাঁরা যেন রানাঘাট স্টেশনে চলে আসেন। এর পরই ফোন কেটে যায়।

দেরি করেননি তাঁরা। ছুটে যান। কিন্তু শুক্রবার রাতভর তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি মান্দারির। শনিবার সকালে রানাঘাট জিআরপি থানায় এসে মান্দারির বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন রেল লাইনের ধারে মিলেছে তাঁদের মায়ের ধড়-মুণ্ড আলাদা দেহ।

রানাঘাট জিআরপি থানার পুলিশ জানায়, গাংনাপুরের বাসিন্দা মান্দারি একলাই এক আত্মীয়ের শ্রাদ্ধে গেদে সীমান্তের এক গ্রামে গিয়েছিলেন। শুক্রবার ট্রেনে গেদে থেকে রানাঘাটে এসে নামেন। রাত তখন ১০টা বেজে গিয়েছে।

রানাঘাট থেকে গাংনাপুর যাওয়ার শেষ ট্রেন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। বাড়িতে ফোন করে জানান ওই ট্রেনেই তিনি ফিরছেন। কিন্তু তিনি ওই ট্রেনে ফেরেননি। তার পরেই মায়ের ফোনে বিপদের খবর পান। রাতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও মান্দারির সন্ধান পাননি বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ জানায়, শনিবার ভোরে রানাঘাট চাবিগেটের কাছে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ পড়েছিল। কিছুটা দূরেই পড়েছিল মাথাটা। মান্দারির বাড়ির লোকেরা থানায় কোনও অভিযোগ জানাননি এখনও। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরিষ্কার হবে কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, হয় আত্মঘাতী হয়েছেন, না হলে দুষ্কৃতীদের হাতে পড়েছিলেন। পালাতে গিয়ে হয়তো ট্রেনের সামনে পড়ে যান মান্দারি। আর তার জেরেই ধর-মুণ্ড আলাদা হয়ে যায়।

Beheaded Body Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy