র্ষা আসেনি, তার আগে এমনই বেহাল ডোমকলের শীতলনগরের রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
জল দেবে যাঁরা ভোট পাবে তাঁরা!
ভাগীরথীর পাড় লাগোয়া মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের ডাহাপাড়া-র বাসিন্দারা এই একটি ব্যাপারে এ বার এককাট্টা।
ডাহাপাড়া পঞ্চায়েতের ১৩টি সংসদ এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট। গরম পড়তে না পড়তে চা চরমে ওঠে। এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের পানীয় জল সংগ্রহ করতে প্রতি দিন কয়েক কিলোমিটার পথ আলপথ ধরে হাঁটতে হয়। তার মধ্যে ধামুয়া, হইদরপুর, বুধড়া, পিরতলা, খোশবাগ, রায়তুনবাগ, এলাহিগঞ্জ, কুড়ুলপাড়া সংসদ এলাকায় সমস্যা সবচেয়ে বেশি। জলস্তর নীচে নেমে গিয়ে এই সব জায়গায় টিউবওয়েলগুলিতেও জল উঠছে না। অনেক জায়গায় আবার টিউবওয়েলই বিকল। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তাই ফুঁসছেন ডাহাপাড়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। তাঁরা সবাই মিলে ঠিক করে ফেলেছেন, যে দল আগে তাঁদের জলের সমস্যার সমাধান করে দেবে এলাকার সব ভোট পড়বে তার ঝুলিতেই।
সে কথা জানতে পেরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। কারণ, আগে কে দল আনতে পারে তার একটা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
তবে সবচেয়ে চাপে রয়েছে তৃণমূল। যারা এতদিন ওই পঞ্চায়েতের দায়িত্বে ছিল। কারণ, তাদের বিরুদ্ধে জলের সমস্যার সমাধানের নামে অর্থ তছরূপের অভিযোগ শুধু বিরোধী দল থেকে নয় খোদ নিজেদের দলের অন্দর থেকেও উঠেছে।
মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মসরত শেখ অভিযোগ করেছেন, ‘‘পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে রাজ্য সরকার দফায়-দফায় টাকা দিয়েছে। কিন্তু সেই টাকা কোন খাতে খরচ হয়েছে তা বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধানকে জিজ্ঞেস করেও উত্তর মেলেনি। তবে যা পরিস্থিতি তাতে এলাকার মানুষের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক।’’ জবাবে ডাহাপাড়া পঞ্চায়েতের বিরোধী প্রধান সঞ্জীব সাহানির উত্তর, ‘‘এই পরিস্থিতিতে এই প্রশ্নের কোনও জবাব আমি দেব না।’’
ওই পঞ্চায়েতের বিদায়ী বিরোধী দলনেতা দিলশাদ আলি মণ্ডল বলেন, ‘‘নতুন টিউবওয়েল বসানো হয়েছে ও পুরনো টিউবওয়েল সংস্কার হয়েছে বলে ভুয়ো বিল করে পঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল কয়েক লক্ষ টাকা তছরূপ করেছে। মানুষ তার জবাব চায়।’’ ডাহাপাড়া অঞ্চল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদ ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেসের সদস্যেরা উন্নয়নের কথা বলে দলবদল করে পঞ্চায়েত দখল করে। কিন্তু পানীয় জলের সমস্যা তারা দূর করতে পারেনি। উল্টে জলের সমস্যার সমাধানের নামে টাকা নয়ছয় করেছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম শেখের কথায়, ‘‘প্রতি ভোটের আগে পানীয় জলের সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি শোনা যায়। ভোট মিটে গেলে নেতাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। এ বার তাই মানুষ সচেতন। যে দল জল আগে দেবে সে ভোট পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy