Advertisement
E-Paper

সামনে চেয়ার, বাজি আড়ালে

সামনে রাস্তাতেই একটি দোকানের  সামনে বসে এক জন। তার সঙ্গে গিয়ে কথা বলতেই কেল্লা ফতে! গোপনে বাজি কিনে দুই যুবক দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২০ ০০:২২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মোটর বাইকে হন্যে হয়ে ঘুরছিল দুই যুবক। কোথাও বাজি পাচ্ছে না। গাংনাপুরে যে সব দোকানের কথা শুনে তারা বাজি কিনতে এসেছে, সে সব বন্ধ।

শুক্রবার দুপুর। ইতিউতি ঘুরতে-ঘুরতেই দেখা স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে। তাদের কাছে সব শুনে ওই যুবক বলেন, “পুলিশ হানা দিচ্ছে। তাই দোকান বন্ধ রয়েছে। দু’একটি দোকানের সামনে চেয়ার পাতা রয়েছে। সেই চেয়ারে যে যুবক বসে থাকবে বা পাশে দাঁড়িয়ে থাকবে, তার সঙ্গে কথা বলুন। সে বলে দেবে, কী ভাবে বাজি মিলবে।”

সামনে রাস্তাতেই একটি দোকানের সামনে বসে এক জন। তার সঙ্গে গিয়ে কথা বলতেই কেল্লা ফতে! গোপনে বাজি কিনে দুই যুবক দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তবে এই ভাবে বাজি বিক্রির কথা মানতে রাজি নন স্থানীয় বিক্রেতারা। তাঁদের এক জন বলেন, “শব্দবাজি কারখানা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে এখানে। আতশবাজি বিক্রি হচ্ছিল। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর তা-ও বন্ধ রয়েছে। কোনও রকম বেচাকেনা হচ্ছে না।” চাকদহ থেকে রানাঘাট, গত বছর যে সব দোকানের সামনে থরে-থরে বাজি সাজানো থাকত, এ বার সে সব দোকানে অন্য কিছু বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যে কোথাও-কোথাও আড়ালে-আবডালে বাজি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও তা অন্য বছরের তুলনায় সামান্যই। রানাঘাটের এক দোকানি বলেন, “দুর্গাপুজোর আগে বেশ কিছু বাজি কেনা ছিল। পুজোর সময়ে সব বিক্রি হয়নি। ভেবেছিলাম কালীপুজোয় বিক্রি করব। কিন্তু, আদালতের নির্দেশে দোকান খুলতে পারছি না।”

রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভিআরএস অনন্তনাগ বলেন, “কেউ বাজি বিক্রি করবে না, পোড়াবে না, এটাই আদালতের নির্দেশ। এটা মেনে চলার জন্য সর্বত্র মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। কয়েক দিন এই অভিযান চলবে।”

Crackers Kali Puja
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy