Advertisement
E-Paper

চার দিন ধরে নিখোঁজ বালিকার দেহ মিলল

পুলিশ জানায়, ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকেই মীরার খোঁজ মিলছিল না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:০৯
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিখোঁজ থাকার চার দিন পর, বাড়ির পিছনে পুকুর থেকে মীরা খাতুন নামে বছর পাঁচেকের এক নাবালিকার দেহের খোঁজ মিলল। ভরতপুরের গীতগ্রামে ওই ঘটনার পরে বাড়ির লোক নিছক দুর্ঘটনা বলে মনে করলেও পুলিশের অনুমান মেয়েটিকে খুন করেই জলে ফেলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকেই মীরার খোঁজ মিলছিল না। গ্রামের পড়শি থেকে আশপাশের গাঁ-গঞ্জে খোঁজ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তাকে না পাওয়ায় পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন পরিবারের লোকজন। গত কয়েক দিন ধরেই মসজিদ থেকে মাইকে মেয়েটির চেহারার বর্ণনা দিয়ে শুরু হয়েছিল প্রচার। কিন্তু দিন গড়িয়ে গেলেও কেউই তার সন্ধান দিতে পারেনি।

দিনের আলোয় গ্রাম থেকে বেমালুম উবে যাওয়া মেয়েটির সন্ধানে নেমে পুলিশের কপালেও ভাঁজ পড়ে। তবে গ্রামের অনেকেরই প্রশ্ন, বাড়ির পিছনেই পুকুর। সেখানে জাল ফেলা হল না কেন? এ দিন সেখানেই মেয়েটির দেহ ভাসতে দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা দেহটি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই নাবালিকাকে খুন করে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পরিবারের একাংশের মত, জলে পড়ে গিয়েই মারা গিয়েছে মীরা।

ওই নাবালিকার দেহে আপাত ভাবে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেই পরিবারের দাবি। তবে, তার বাঁ হাতের কনুইয়ের কাছে একটি ক্ষত রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। পারিবারিক সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, মাছে খুবলে খেয়েছে বলেই ওই ক্ষত। তবে ওই নাবালিকার মা ফুলসোরা বিবি বলেন, “আমার মেয়ে পুকুর পাড়ে খেলা করত না। কী ভাবে ওই পুকুরে পড়বে, সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমি চাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।”

মাস দু’য়েক আগে খড়গ্রাম থানার পারুলিয়া অঞ্চলের দেবগ্রামে এক নাবালিকাকে সোনার দুলের জন্য খুন করার ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে তেমনই কোনও সম্পর্ক আছে কিনা সেটাও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। কান্দির এসডিপিও যশপ্রীত সিংহ বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। ওই নাবালিকার নিখোঁজ ও মৃত্যু নিয়ে এখনও কোনও কারণ স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশা করছি দ্রুত কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে।”

Death Minor Girl
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy