Advertisement
১১ মে ২০২৪
COVID-19 Vaccine

দাবি না মানলে টিকায় নারাজ

বুধবার জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রতিষেধক কর্মসূচির সমস্ত দায়িত্ব তাঁরা পালন করলেও দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এএনএমরা নিজেরা করোনার টিকা নেবেন না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সুস্মিত হালদার
শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৫০
Share: Save:

তাঁদের দাবি মানা না-হলে করোনা প্রতিষেধক বয়কট করবেন বলে জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য দফতরের ‘হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেল’ বা এএনএম-রা।

তাঁদের সংগঠনের তরফ থেকে বুধবার জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রতিষেধক কর্মসূচির সমস্ত দায়িত্ব তাঁরা পালন করলেও দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এএনএমরা নিজেরা করোনার টিকা নেবেন না। নদিয়ার বেশিরভাগ এএনএম স্বাস্থ্যকর্তাদের অনুরোধ সত্ত্বেও এখনও প্রতিষেধক নেননি।

১৬ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশের সঙ্গে নদিয়া জেলাতেও স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। প্রাথমিত জড়তা বা ভয় কাটিয়ে অনেকেই টিকা নেন। কিন্তু প্রথম থেকেই মুখ ঘুরিয়ে থাকেন ফাস্ট এএনএম বা ‘হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেল’ কর্মীরা। জেলায় ৪৬৫টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আছে। সেখানকার কর্মরত এএনএম-দের সংগঠন ‘অল ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেল অ্যান্ড হেলথ সুপারভাইজার ফিমেল ওয়ারকার্স অ্যাসোসিয়েশন’- এর তরফ থেকে বিভিন্ন ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকে লিখিত ভাবে তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।

সংগঠনের নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদিকা দীপা বিশ্বাস বলেন, “নার্সিং কাউন্সিল থেকে নার্সিং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নবীকরণ করাতে হয়, অথচ আমাদের নার্সিং ক্যাডারে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি পে স্কেল পরিবর্তন, পদোন্নতি-সহ একাধিক সুযোগ সুবিধা প্রায় চল্লিশ বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে।” হাঁসখালির এএনএম সুস্মিতা সরকার বলছেন, “অন্যকে প্রতিষেধক দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছি। শুধু নিজেরা প্রতিষেধক নিচ্ছি না। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা করোনা প্রতিষেধক বয়কট করব।” জেলার ১৭টি ব্লকের মধ্য করিমপুর বা কৃষ্ণগঞ্জের মতো দু’-একটি ব্লকে অনেক ‘হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেল’ প্রতিষেধক নিয়েছেন। কিন্তু বাকি ব্লকগুলির চিত্র উল্টো। সেখানে বেশির ভাগ এএনএম প্রতিষেধক নেননি। চাপড়া ব্লকে যেমন ৫৬ জনের মধ্যে মাত্র ৪ জান, হাঁসখালি ব্লকে ২৮ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন করোনা প্রতিষেধক নিয়েছেন। রানাঘাট মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক পুষ্পেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “ব্যক্তিগত কারণে কেউ এই প্রতিষেধক না নিতেই পারেন। কিন্তু কর্মক্ষেত্রের দাবিদাওয়া পূরণের অজুহাতে দলগত ভাবে প্রতিষেধক বয়কটের সিদ্ধান্তে অন্যদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে।” জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “গোটা বিষয়টি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেখছেন।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Corona COVID-19 Vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE