কলকাতায় উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্বল সেতু সংস্কারে হাত লাগাল পূর্ত দফতর। কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর কান্দি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় কানাময়ূরাক্ষী নদীর উপর প্রায় একশ মিটার সেতুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই সেতুর একটি থাম নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় ওই অবস্থা। বর্ষায় নদীর স্রোত বাড়লে থামটি আরও যাতে নড়বড়ে হয়ে পড়ে তার জন্য সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর।
পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, দেশ তখনও স্বাধীন হয়নি। তার আগে তৈরি করা সেতুটি। সেই সেতু এখন মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম এই দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সড়ক। বছর দশেক আগে সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। পূর্ত দফতর সেই মর্মে নির্দেশ জারি করে। তাতে বলা হয়, সেতুর উপর দিয়ে ৮ টনের বেশি পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে না। ঘন্টায় মাত্র দশ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি যেতে পারবে না। এখন সেতুটি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় বীরভূম থেকে আসা বালি, পাথর বোঝাই ট্রাকগুলিকে ভায়া কান্দি হয়ে বহরমপুরের দিকে না পাঠিয়ে বড়ঞার কুলির মোড় থেকে খড়গ্রাম থানার উপর দিয়ে শেরপুর, গাঁতলা ঘাট হয়ে বহরমপুরের দিকে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মাস দু’য়েক আগে কলকাতায় নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ সেতু ভেঙে পড়ে। হতাহত হন অনেকে। সেই ঘটনা থেকে সিক্ষা নিয়ে পূর্ত দফতর নড়েচড়ে বসে। দফতর সূত্রে খবর, সেতুর একটি থাম সারা বছরই জলে ডুবে থাকে। ফলে মাটি নরম হওয়ায় ওই থামটি খানিক বসে গিয়েছে। নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে সেটি। বর্ষার নদী ভয়ঙ্কর চেহারা ধারণ করে। দু’কূল ছাপিয়ে জল বইতে শুরু করে। প্রবল স্রোতে যাতে ওই থামটি আরও নড়বড়ে না হয়ে পড়ে সে দিকে খেয়াল রেখে থামটির চারদিক বোল্ডার দিয়ে বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছে।
দফতরের কর্তা জানান, সেতুটির পাশে আরও একটি সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সমীক্ষার কাজও সারা। এখন সেতুটির নকশা তৈরির কাজ চলছে। দফতরের বহরমপুর এক নম্বর ডিভিশনের আধিকারিক হাসানুর জামান বলেন, “এ বারের বর্ষায় যাতে সেতুর নীচে থামগুলি ক্ষতির মুখে না পড়ে সেই জন্য প্রাথমিক ভাবে কিছু কাজ শুরু হয়েছে। নতুন সেতুর নকশা তৈরি হচ্ছে। আশা করি বর্ষার পর নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy